শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছে কেটি এক্সটিংশনের প্রভাবে!

ডাইনোসরের বিলুপ্তি কিভাবে হলো- এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা করেছেন, এর বিলুপ্তির নানা কারণের কথাও উল্লেখ করেছেন। এর বিলুপ্তি কেন বা কিভাবে ঘটলো এ নিয়ে গবেষণা চলছে এখনো। সম্প্রতি প্রচুর সংখ্যক বিজ্ঞানীর একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল ব্যাপক গবেষণার পর জানান যে, এখন থেকে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে বিশালাকৃতির একটি গ্রহানুর আঘাত ঘটেছিল। সেই আঘাতের প্রভাবে বিশালকার ডাইনোসরের বিলুপ্ত ঘটে। গবেষকদল এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রায় ২০ বছরের কাগজ বা নথিপত্র নিয়ে গবেষণা করেন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায় বিজ্ঞান ভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্স-এ।
বিজ্ঞানীরা আরো ধারণা করেন, ওই সময় (গ্রহাণুর আঘাত) পৃথিবীর বুকে অনেক ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। ফলে বিলুপ্তি ঘটেছিল বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জীব প্রজাতি। তাদের মধ্যে ছিল ডাইনোসরও। তারা বলেছেন, পৃথিবীর বুকে সজোরে আছড়ে পড়া গ্রহানুটি ছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার চওড়া। এর আঘাতে পৃথিবীতে যে শক্তি উৎপপন্ন হয়েছিল তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় আঘাত করা পরমাণু বোমার চেয়ে প্রায় ১০০ কোটি গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল।
বিজ্ঞানীরা ওই ঘটনার নাম দিয়েছেন ‘ক্রিটেশ্যাস-টারসিয়ারি (কেটি এক্সটিংশন’)। এর আগে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, ভারতে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে প্রচুর সংখ্যক অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। এর প্রভাবে বিলুপ্তি ঘটে ডাইনোসরসহ অন্যান্য প্রজাতির সরীসৃপ (রেপটাইল), টেরোসোরাস (দেখতে পাখির মতো) এবং বিশালাকৃতির সামুদ্রিক সরীসৃপের। ওই অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল প্রায় ১৫ লাখ বছরব্যাপী। এর প্রভাবে ক্রমে শীতল হতে থাকে আবহাওয়াম-ল। এভাবে আস্তে আস্তে ঘটে অ্যাসিড বৃষ্টিও। এসব কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় বরফযুগের।
গত ১৯৮০ সালেও বিজ্ঞানী লুইস অলিভারেজ নামক একজন বিজ্ঞানীও এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়েছিল বিশালাকৃতির একটি গ্রহাণু। এটি আঘাত হেনেছিল বর্তমান মেক্সিকোর চিক্সুবুল অঞ্চলে। এর প্রভাবে বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ