বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজধানীতে মুসল্লিদের বিক্ষোভ

আরাকানে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে -সংগ্রাম

 

স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে মুসল্লীরা। গতকাল বাদ জুমা মুগদা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচীতে মসজিদের মুসল্লিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। 

মিছিলটি মান্ডা ছাতা মসজিদ থেকে শুরু হয়ে মুগদার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে উলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজীর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুর রহমান, মুগদা কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মুফতি এহসানুল হক জিলানী, মান্ডা কদম আলী ঝিলপাড় মসজিদের খতিব মাওলানা মেরাজুল হক মাজহারী, মাদরাসা বাহরুল উলুমের প্রি্িন্সপাল মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, সহ-সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান, বায়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মুস্তাকীম বিল্লাহ হামিদী, মান্ডা ছাতা মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আমিন আল ফরিদী, সংগঠনের সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুর রহমান মাজহারী, মান্ডা মেঘু বেপারী মসজিদের খতিব মাওলানা রাশেদ ইমাম, বায়তুল আমান মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াসিন নোমানী, আন নূর মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদুল হাসান, আল হাদী মসজিদের খতিব মুফতি জোবায়ের, মারকাজুল উলুমের মুফতি সাকের ও মাওলানা আব্দুল কাদের, জামেয়া মাদানিয়া মুগদার প্রিন্সিপাল মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, আল হেরা মসজিদের খতিব মাওলানা সামসুদ্দিন, মান্ডা বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি আল আমিন প্রমুখ। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সু’চি ও সেনাবাহিনীর জঘণ্যতম গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো শুধু সমবেদনা জানিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছে। তারা গণহত্যা বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। শুধু মুসলিম হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না। এজন্য মুসলমানদের রক্ষায় মুসলমানদেরই এগিয়ে আসতে হবে। 

অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা বন্ধের আহবান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের গণহত্যার জন্য অংসান সু চি ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধসহ সব ধরনের শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে হবে

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ