শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার বিচার না হলে বিশ্বের দেশে দেশে মুসলমানদের জানমালের কোন নিরাপত্তা থাকবে না

বাংলাদেশ আরাকান সলিডারিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুছা কলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৫ সেপ্টেম্বর বাদে জুমা লালদীঘির পাড়স্থ জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে এবং অং সান সূচির ও তার সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও ফাঁসির দাবীতে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন নেজাম ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রহমান চৌধুরী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক কে. এম আলী হাসান, হেফাজতের চট্টগ্রাম জেলা আমীর মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মো. হারুন উর রশিদ, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা নূর মোহাম্মদ, হেফাজত নেতা আশরাফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফরিদ আহমদ, এডভোকেট নিযাম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগ, আসিয়ান, সার্কসহ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করল যে, শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ার অপরাধে মিয়ানমারের সরকার আজ রোহিঙ্গা জাতিকে বার্মার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নির্মুল করে দিল। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে বঙ্গপোসাগরের পানিতে ডুবন্ত চর ‘ঠ্যাংগার চরে’ আশ্রয় দিলে সেখানে বড় ঝড় জলোচ্ছাসে তারা বঙ্গোপাসাগরে বিলীন হয়ে যাবে। তাই রোহিঙ্গাদেরকে ‘ঠ্যাংগার চরে’র পরিবর্তে তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ী খালি জায়গায় কাটাতারের ঘেরাও দিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় আশ্রয় শিবির ও পুনর্বাসনের দাবী জানান। বক্তাগণ বলেন, ফিলিস্তিনীদেরকে সাহায্যের মত বাংলাদেশ ও মুসলিম দেশসমূহের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে স্কুল কলেজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে রোহিঙ্গা সাহায্য তহবিল গঠন করা এবং সকলের নিকট টেবিল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সকলের দুপুরের টিফিন খরচের টাকা বাঁচিয়ে ঐ টেবিল ব্যাংকে জমা করার ও রোহিঙ্গাদেরকে আরাকানে পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সাহায্য দেয়ার দাবী জানান। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বার্মীজ সেনাবাহিনী নিজেরাই টুপি আর পাঞ্জাবী পরে ছদ্মবেশে চেকপোস্টে মুসলিম জঙ্গী হামলার মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সমান ভূখন্ড আরাকান রাজ্য থেকে মুসলিম জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করে প্রায় ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে খালি করে সেখানে চিনের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তেলগ্যাস উত্তোলনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তৎপর। এই ২০ লক্ষ মুসলিমকে তাদের জায়গা জমি ও বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েই তারা সেটা করতে পারতো। কিন্তু তারা উল্টা এই জাতিকে নিশ্চিত করলো এবং ৫০ হাজার যুবকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে। ১৫ লক্ষ বৃদ্ধ ও শিশুকে শরণার্থী বানালো।  সভায় বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আরাকানে তাদের ভস্মিভূত বাস্তুভিটায় ফিরিয়ে নিয়ে তাদেরকে স্থায়ী নাগারিকত্ব দিয়ে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষিবহিনীর নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে এবং স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদেরকে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি সামরিক ট্রেনিং ও সাহায্য প্রদানের জন্য বক্তারা বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান এবং আরাকানে লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম শহীদের রক্তের বন্যার উপর চায়নার অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ না করার জন্য চীন, বৃটেন, ভারত ও রাশিয়াসহ বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি দাবী জানান। বক্তাগণ মুসলমানদেরকে বার্মা চায়না ইসরাইল রাশিয়া ও ভারতের সকল পণ্য বর্জনের জন্য উদাত্ত আহবান জানান এবং কফি আনানের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব ও নাগরিক অধিকার প্রদানের দাবী জানান। বক্তারা বলেন, বাস্তবে আরএস বা আরএসও নামের কোন জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্ব আগেও ছিল না এখনো নাই। বার্মায় মুসলিম গণ হত্যার নায়ক অং সান সূচি ও তার সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপূর্বক ফাঁসি দেয়া না হলে আগামী দিনে ভারতের ৩৫ কোটি মুসলমান ও বিশ্বের দেশে দেশে মুসলমানদের জানমালের কোন নিরাপত্তা থাকবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ