চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১০ শিক্ষকের জামিন
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ শিক্ষকের মধ্যে ১০ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এই আদেশ দেন। বাকী তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত ১০ শিক্ষক হলেন-মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি মো. আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন, আনোয়ারার সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক বাদল দাশ, পটিয়ার সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দে, সাতকানিয়ার সভাপতি অজিত কারণ, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন এবং চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি বিজন ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম সৈয়দ হোসেন।
তবে বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুকুল বড়ুয়া ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বাঁশখালীর সভাপতি তাহেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিয়া জামিন পাননি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, কারাগারে যাওয়া ১৩ শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম ছিল না। এসব বিষয় আমরা আদালতের কাছে তুলে ধরেছি। শুনানি শেষে আদালত ১০জন শিক্ষকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ের সৃজনশীল অংশের একটি প্রশ্নে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি লিয়াকত আলীর কার্যক্রমকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তুলনা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে বাঁশখালী থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৩ আগস্ট ১৩ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়।