বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নীলফামারীতে আরডিআরএসের মামলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডোমারে একজনের ঋণের পরিবর্তে অপর একজনের ব্যাংক হিসাবের হারিয়ে যাওয়া চেকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালীপনাকে ঘিরে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার সোনালী ব্যাংক শাখায়। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরনে জানা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার চিকনমাটি গ্রামের সুফি আব্দুল আজিজ নামের এক ব্যক্তির ডোমার সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। যার নং-৩৪১৩৫৬৬৩। ব্যাংক হতে এই হিসাবের বিপরীতে ০৭২৭২৫১-০৭২৭২৬০ ক্রমিকে বর্ণিত একটি চেক বই ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা হয় যা ওই গ্রাহক হারিয়ে ফেলে। ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রাহক ইস্যুকৃত ওই চেক বইয়ের বিপরীতে ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং-১১৮, তারিখ-০৩/০৫/২০১৭ইং। জিডি কপি ব্যাংকে জামাদান ও ৩৫০ টকার স্টাম্পে হারিয়ে যাওয়া চেক বই ক্লোজ করে ওই গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ০৫/০৫/২০১৫ তারিখে ১১০৫৬৩১-১১০৫৬৪০ নং ক্রমিকে অপর একটি নতুন চেক বই প্রদান করে। অপরদিকে বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস এর ডোমার এরিয়া অফিস হতে আবুল বাশার নামের অপর এক ব্যক্তি ২৭/১১/২০১৪ তারিখে ঋণগ্রহণ করেন। ঋণগ্রহীতা আবুল বাশারের ঋণের বিপরীতে ডোমার আরডিআরএস কতৃপক্ষ সুফি আব্দুল আজিজের হারিয়ে যাওয়া চেকের একটি পাতা ০৮/০২/২০১৬ তারিখে ব্যাংকে জমা দেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই দিনেই অপর্যাপ্ত তহবিল ও একাউন্ট ডরমেট হিসাবে চেকটি ডিজঅনার করেন। ০৩/০৫/২০১৭ তারিখের হারিয়ে যাওয়া চেকটি ১০ মাস পরে ০৮/০২/২০১৬ তারিখে জমা দিয়ে ডিজঅনার দেখিয়ে আরডিআরএস কর্তৃপক্ষ তাদের প্রকৃত ঋণগ্রহীতা আবুল বাশারকে বাদ দিয়ে হারিয়ে যাওয়া চেকের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ব্যাংকের গ্রাহক সুফি আব্দুল আজিজের নামে আরডিআরএস কর্তৃক মামলা দায়েরের পর সোনালী ব্যাংক ডোমার শাখা ব্যাবস্থাপক ডোমার/চেক/১২৬, তারিখ-১৪/০৩/২০১৬ নং স্বারকে ৩৪১৩৫৬৬৩ নং হিসাবের বিপরীতে ০৭২৭২৫১-০৭২৭২৬০ ক্রমিকের হারিয়ে যাওয়া চেকের পাতা ওই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকে জমা ও ডিজঅনার সম্পর্কে তাদের দেয়া প্রতিবেদন ভুল হয়েছে মর্মে একটি চিঠি ইস্যু করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দেয়া চেক ডিজঅনার হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আরডিআরএস কর্তৃপক্ষ তাদের প্রকৃত ঋণগ্রহীতাকে বাদ দিয়ে অপর একজনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করে। অপরদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুল হয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করছে যা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক ও আরডিআরএস তাদের অসদউদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাংক গ্রাহককে নানাভাব হয়রানি করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই পরিবারটি। ০৩/০৫/২০১৭ তারিখের হারিয়ে যাওয়া চেকটি ১০ মাস পরে ০৮/০২/২০১৬ তারিখে জমা দিয়ে ডিজঅনার দেখিয়ে আরডিআরএস কর্তৃপক্ষ তাদের প্রকৃত ঋণগ্রহীতাকে বাদ দিয়ে হারিয়ে যাওয়া চেকের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে সুফি আব্দুল আজিজকে হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হারিয়ে যাওয়া একটি বাতিল চেক কিভাবে ডিজঅনার করে তা নিয়ে ব্যাংকের খামখেয়ালীপনাকে ঘিরে ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে আর্থিক ওই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ববোধকে ঘিরে। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ডোমার শাখার ব্যবস্থাপক মাহমুদুজজামান ও আরডিআরএস ডোমার শাখার সিনিয়র কর্মসূচি ব্যাবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ