শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের ঢল

বেনাপোল সংবাদদাতা : ঈদের ছুটির শুরুতেই ভ্রমণ পিপাসু ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের ঢল নেমেছে এখন বেনাপোল চেকপোস্টে। যাত্রীদের সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে দু’দেশের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টম কর্মকর্তারা। যেন ভোগান্তির শেষ নেই এসব যাত্রীদের। তবে রোগী ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়ছে সঙ্গিরা।
ঈদের ছুটি শুরু থেকেই প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছে গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। ভারত থেকে আসছেও অনুরুপভাবে তবে আসার সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে একটু কম। ঈদের দিন শনিবার এ পথে ভারতে গেছে ৪ হাজার ৫শ‘ ৩ জন এবং ভারত থেকে আসছে ৮ শত ৩৮ জন যাত্রী । রোববার এ পথে ভারতে গেছে ৬ হাজার ১ শত ৬২ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে ২ হাজার ১ শত ৮৬জন। সোমবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভারতে গেছে ৬ হাজার ৫শত জন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সংখ্যা জানাতে পারেনি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তারা জানান ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সংখ্যা জানানো যাবে রাত সাড়ে ৮ টার পরে। তবে ৩ দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায় এ পথে ভারত-বাংলাদেশ যাতয়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা ২০ হাজার ১শত ৮৯ জন। এ সব যাত্রীর কাছ থেকে শনিবার থেকে সোমবার বিকাল ৫টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত ৩ দিনে সোনালী ব্যাংক চেকপোস্ট ব্যুথ ভ্রমণকর আদায় করেছে ১ কোটি ৩৫ হাজার টাকা। যাতয়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা এ পথে বাড়ছে প্রতিদিন। এ সব যাত্রীদের কেউ চিকিৎসা  কেউ বেড়াতে কেউ বা যাচ্ছে নাড়ির টানে আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এসব যাত্রীরা ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে ঢুকতেই নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে চেকিংয়ের নামে লাইনে দাঁড় করিয়ে পাসপোর্ট ও ব্যাগ সিরিয়ালে দেখছে দীর্ঘক্ষণ ধরে। দীর্ঘ লাইনের এসব যাত্রীদের পাসপোর্টের ঠিকানা, ভিসার মেয়াদ, ভারতে কোথায় অবস্থান করবেন এসব নানা প্রশ্ন করে হয়রানি করছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ভারতে প্রবেশের একটিমাত্র পকেট গেটে একজন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে চেকিংয়ের নামে নানাভাবে হয়রানি করছেন। হয়রানির শিকার যাত্রীরা কেউ কেউ শিশু ও রোগীদের নিয়ে ভারতে না যেয়ে ফিরে আসছেন নিজ ঠিকানায়।
হয়রানির শিকার যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যক্রম ধীরগতি হওয়ায় লাইনে থাকা যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ করতে বিলম্ব হচ্ছে। হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা জানালেন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে আছি।
বাংলাদেশে একটি পাসপোর্টে সিল মারতে যে সময় লাগে সেখানে ভারতে লাগছে দীর্ঘক্ষণ । প্রতিদিন যে সকল যাত্রীরা সকাল ৮ টার সময় ভারতে ঢোকার জন্য নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় লাইনে দাঁড়ায় তারা দুপুরের দিকে ভারতে প্রবেশ করছে। নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় কোন যাত্রী ছাউনি না থাকায় রোদ ও গরমে কোন কোন যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে শিশু মহিলা ও রোগি যাত্রীরা।
  বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এ,আর এম রকিবুল হাসান জানান শনিবার থেকে সোমবার বিকাল ৫টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত ভারত ভ্রমন পিপাসু ২০ হাজার ৭০জন যাত্রীর কাছ থেকে ১ কোটি ৩৫ হাজার টাকা ভ্রমণ কর আদায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এস, আই মো: ফজলুর হক জানন ঈদের ছুটি শুরু থেকেই বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে তেমন কোন সমস্যা না হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ধীর গতির কারনে সকালে আসা যাত্রীরা দুপুরে ভারতে প্রবেশ করছে। ভারতীয় ইমিগ্রিশেন কর্তৃপক্ষ তাদের জনবল বাড়িয়ে দ্রুত কাজ করলে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হতো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ