শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আন্দোলনের মাধ্যমেই ক্ষমতাসীন আ’লীগকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে আপোষে বাধ্য করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, কথায় নয় একমাত্র আন্দোলনই নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বিরোধী জোটের সাথে আপোষে বসতে বাধ্য হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় এটাই বলে যে, আন্দোলনের ১৫ দিন আগেও বলা যায় না, যারা ক্ষমতায় থাকে তারা ক্ষমতাচ্যুত হবে। বাংলাদেশের ৩০ বছরের ইতিহাসে দেখা যায় যে, মাত্র ১৫ দিন আগেই অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যায়, সরকার তখন পালাবার চেষ্টা করে এবং আপোষ করার চেষ্টা করে। ইয়াহিয়া সেটা করেছে, আইয়ুব সেটা করেছে, এরশাদ করেছে এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগও সেই পথে আসবে বলে আমার ধারণা। আমি বলব, অবিলম্বে সহায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হোক। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক, যারাই আসুক জনগণের ভোটে আসবে। 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির তহবিলে দুই লাখ নগদ অর্থ হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানসহ কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভগের সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়ানোর পরিণতি শুভ হবে না মন্তব্য করে নোমান বলেন, এই সরকার বিচার বিভাগকে রাস্তায় নিয়ে চলে এসেছে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর যে ভাষা, মন্ত্রীদের যে ভাষা এবং কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিশেষভাবে বলেছেন যদি ভালো না লাগে তাহলে প্রধান বিচারপতিকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার জন্য। এই ধরণের ঔদ্ধত্তপূর্ণ বক্তব্য দেশবিরোধী বক্তব্য বলে আমরা মনে করি। আমরা বলব, সরকার সাবধান হোন। জনগন একবার রাস্তায় নামলে রাস্তা থেকে আর ফিরে আসবে না।

আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করে বলেন, সরকার যেভাবে আজকে জুডিশিয়ারিকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করছে তাতে ভবিষ্যতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ বিচারালয়ের যে ভুমিকা, সেই ভুমিকা রাখতে অনেকেই ইতস্তত করবে। তিনি বলেন, আজকে সমস্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ইনস্টুমেন্ট যেগুলো আছে, ব্যুরোক্রেসি আছে, পুলিশ আছে, র‌্যাব আছে ও অন্যান্য সংগঠন আছে। সেখানে আমরা লক্ষ্য করছি সেগুলোকে সরকার করায়াত্ব করেছে, বিচার বিভাগকেও করায়াত্ব করার একটা কৌশল তারা গ্রহন করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে আজ একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতা মধ্যে আমরা নতুন করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছি। এই অস্থিরতা রাজণৈতিক অস্থিরতা, এই অস্থিরতার কারণে আজকে সমাজিক শক্তি যেটা আছে, সেই সামাজিক শক্তিও কিন্তু তাদের সাধ্যমত ত্রাণ কাজে আসছেন না। যেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকবে সেখানে কিন্তু আমরা সবসময় অশনি সংকেতের মধ্যে আছি। এই অবস্থায় আমাদের কার্য্ক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সারাদেশে বন্যা দূর্গত এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীরা বানভাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, কাজ করে যাবে। ত্রাণ পূর্ণবাসনেও আমরা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবো, তাদের সহযোগিতা করবো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ