শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শ্রীনগর-সিরাজদিখানে রাজনীতি প্রাণ পাচ্ছে

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণসঞ্চার হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ৩ টি আসনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ -১ আসন।  শ্রীনগর-সিরাজদিখান দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসন। এখানে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনে রয়েছে প্রকাশ্য বিরোধ। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি কমিটিও। তবে এ আসনে বিকল্পধারা, জাতীয় পার্টিসহ বামদলগুলোর ভোট হাতে গোনা। এখানে জামায়াতে ইসলামীর ভীত বেশ শক্ত। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে স্বাধীনতা পরবর্তী বছরের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রভাব ছিল। বি. চৌধুরী বিএনপি থেকে ৫ বার এবং তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী ১ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে পরাজয়ের পর বি. চৌধুরী ও মাহী বি. চৌধুরী এলাকায় খুব একটা আসেননি। অন্য দিকে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় নিজেকে ধরে রাখতে পেরেছেন। তবে বর্তমানে বিএনপি দলের মধ্যে প্রকাশ্য কোন্দল রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্যপ্রার্থী তালিকায় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মমিন আলী। তিনি  ২০০৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির টিকিট পেয়ে বিকল্পধারা প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরো রয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি শেখ মো: আব্দুল্লাহ। তবে মীর সরফত আলী সপুর পক্ষে রয়েছেন বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
 এছাড়া দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত করে বলছেন তার সমর্থকেরা। মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে  উঠেছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক ভাবে মাঠে রয়েছেন। ফলে তরুণদের একটা বড় অংশ তার সথে রয়েছেন।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করাতে গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে  রয়েছেন।
অন্য দিকে প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রেসিডেন্ট নুরুল আলম চৌধুরী। তিনি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী। নুরুল আলম চৌধুরী জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠনের সিপিআই। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে দলীয় নমিনেশন চেয়ে আসছেন। জনগণের সাথে তার এখনো যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দিন আহাম্মেদ।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে ডাঃ আঃ লতিফ হাওলাদার প্রার্থী হতে পারেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ