মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রায় নিয়ে দু’রকম অবস্থানের কারণে খায়রুলকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে -ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার : আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি থাকাকালে রায় নিয়ে দুইরকম অবস্থানের কারণে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপট- বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এয়োদশ সংশোধনী বাতিলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের এজলাসের ঘোষিত রায় এবং ১৬ মাস পর পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভিন্নতার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন। গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. মোশাররফ বলেন,  ষোড়শ সংশোধনীর ৭৯৯ পৃষ্টার এই রায়ের যে পর্যবেক্ষনের প্রতিটি লাইন আছে, এখানে কোনো অবান্তর বিষয় নাই, কোনো ভ্রান্তমূলক বিষয় নাই। একদিন বাংলাদেশের মানুষ এই রায়ের প্রতিটি লাইন এদেশে বাস্তবায়ন করবে তখন কিন্তু খায়রুল হকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি স্বৈরাচার আইয়ুব খানের মতো মাইটি সরকার অনেক দিন যাবত জোরের সাথে দেশ চালিয়েছে শেষ রক্ষা হয় নাই, এরশাদ দেশ চালিয়েছে শেষ রক্ষা হয় নাই। হিটলার- মুসেলিনের মতো বড় বড় ডিকটেররা দেশ পরিচালনা করেছে, সর্বশেষ তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।
বিচারপতি খায়রুল হকের কঠোর সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খায়রুল হক সাহেব সারাজীবনে বিচারপতি হিসেবে যে কলঙ্ক রেখে গেছেন, তিনি কোর্টে বিচারকের চেয়ারে বসে যে রায় দিয়েছিলেন, শর্ট রায়ে ছিলো পরবর্তি দুইটি নির্বাচন হবে দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তবে সাবেক প্রধান বিচারপতি অথবা বিচারকদের মধ্য থেকে সরকার প্রধান করা যাবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এই খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার ১৮ মাস পরে যে পূর্ণাঙ্গ রায় দিলেন, তাতে তিনি বেমালুম এটা তুলে দিয়েছিলেন। এর থেকে গর্হিত অপরাধ কী হতে পারে। একজন বিচারপতি আদালতে বসে যে রায় দিলেন, পরে তিনি সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে তুলে দিলেন।
আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আবার জেগে উঠবে। আওয়ামী লীগের নেত্রীকে জনগণের দাবির কাছে মাথা নত করতে হবে তা নাহলে তাদের পরিণতি জন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেজন্য ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর যেখানে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ,সেখান তারা পদত্যাগ না করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। এখন আর সহায়ক সরকারের দাবিতে আমরা নাই। এখন কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে, কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির ব্যাপারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ