শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজশাহী চিড়িয়াখানার ঘড়িয়াল সঙ্গী পেলো তিন দশক পর

রাজশাহী : ঢাকা থেকে আনা একটি ঘড়িয়াল রাজশাহী চিড়িয়াখানায় অবমুক্ত করা হচ্ছে -সংগ্রাম

রাজশাহী অফিস : রাজশাহীর কেন্দ্রীয় উদ্যোন ও চিড়িয়াখানার দুইটি স্ত্রী ঘড়িয়ালের মধ্যে একটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকায়। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল নিয়ে আসা হয়েছে রাজশাহীতে।
এর ফলে বিপন্ন প্রাণিটির বংশ বিস্তারের সুযোগ ঘটলো। গত শুক্রবার রাজশাহী চিড়িয়াখানার পুকুর থেকে স্ত্রী ঘড়িয়ালটিকে ধরা হয়েছে। রাতেই নিয়ে যাওয়ার পর শনিবার ঢাকায় সেটিকে ছাড়া হয়। আর ঢাকা থেকে পুরুষ একটি ঘড়িয়াল নিয়ে রোববার রাজশাহীর চিড়িয়াখানার পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। এসময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফারহাদ জানান, ঘড়িয়াল বাংলাদেশে একটি বিপন্ন প্রাণি। দিনে দিনে এদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। বর্তমান সময়ে দেশে ঘড়িয়াল দেখা মেলা ভার। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী চিড়িয়াখানায় দুইটি স্ত্রী ঘড়িয়াল আছে। যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। সেই সময় পদ্মা নদীতে মাছ মারতে গিয়ে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিলো বাচ্চা ঘড়িয়ালগুলো। জেলেরা সেগুলো ধরে চিড়িয়াখানায় দিয়েছিলো। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় যে কয়টি ঘড়িয়াল আছে সবগুলো পুরুষ। সে কারণে প্রজনন করানো সম্ভব হচ্ছিলো না। দুই চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণিটির প্রজনন বৃদ্ধি করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বংশ বিস্তার করতে পারবে প্রাণিটি। প্রাণি চিকিৎসক ডা. ফারহাদ বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঘড়িয়ালদের প্রজনন মৌসুম। একবারে প্রজননে ৩৫ থেকে ৪০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে তারা। সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তারা ডিম পাড়ে। ডিম পড়ার পরে তারা গর্ত খুড়ে ডিম ঢেকে রাখে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নেয় ৭০ থেকে ৯০ দিন। রাজশাহী চিড়িয়াখানার যে পুকুরে ঘড়িয়াল থাকে সেখানে ডিম পাড়ার পরে গর্ত করে রাখার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। সে কারণে বর্ষা শেষ হয়ে গেলে পদ্মা নদী থেকে মোট বালি পুকুরটির একাংশে ফেলা হবে। যেখানে ঘড়িয়াল ডিম পাড়তে পারবে। ডা. ফরহাদ আরো জানান, ঘড়িয়াল বিনিময়ের পাশাপাশি ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৪টি রঙিন ময়ূর নিয়ে আসা হবে। এদের দুইটি পুরুষ ও দুইটি নারী। ময়ূরগুলোর এখানে প্রজনন করে বংশ বিস্তার করানো হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ