শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বরিশাল শেবাচিমের ৬০ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল অফিস: অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়ায় স্বজনদের মারধরের ঘটনায় শেবাচিম হাসপাতালের ৬০ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার শিকার  মো. তৌহিদ’র স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার (সার্জারী ইউনিট-৩) ডা. সাইফুল ইসলামকে নামধারী ও ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত ইন্টার্নী চিকিৎসককে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগসহ সকল প্রবেশদারে তালা লাগিয়েছে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। মারধর পরবর্তী মমলার ঘটনায় শেবাচিমের কতিপয় কিচিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্র-ছাত্রীরা একজোট হয়ে এমন কা- ঘটিয়ে চলছে। প্রতিবাদের নামে তাদের এই অমানবিক কর্মকা-ে প্রতিদিন হাসপাতালে আসা হাজারো রোগী ও তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের এই হাসপাতালটি হচ্ছে এঅঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র নির্ভিরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। সে খানে আন্দোলনের নামে এমন বিতর্কিত কর্মকা-ে অসহায় ও গরীব মানুষের জন্য মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভুক্তভোগীসহ সকলের দাবী অনতিবিলম্বে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে অসুস্থ রোগীর সেবায় সকলকে আত্মনিয়োগের। তানা হলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ  হোসেন জানান, সোমবার রাতে রোগী দেখতে গিয়ে স্বজন  তৌহিদসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসকদের হামলার শিকার হন। ওই ঘটনায় তৌহিদের স্ত্রী জান্নাত আরা বাদী হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চিকিৎসক সাইফুলসহ ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাত ইন্টার্নী চিকিৎসককে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে শেবাচিম হাসপাতালে বেআইনীভাবে জনতাবদ্ধ অবস্থায় তৌহিদসহ কয়েকজনকে চিকিৎসকরা বেধড়ক মারধর করে জখম, চুরি, ভায়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে।
বাদী জান্নাত আরা জানান, তার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে দেখতে যান। তাকে চিকিৎসকরা ইচ্ছেমত মারধর করেছে। এটা উচিৎ হয়নি বিধায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান জানান, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নং ১৮। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা এর আগে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যার নং ১৭। কাউন্টার মামলা হিসেবে তিনি দুইটি মামলারই তদন্ত করছেন।
এদিকে হাসপাতালের পরিস্থিতি এবং চলমান সংকট সম্পর্কে জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ