শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আাদিবাসী হতে পারে না

সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য বাঙালিদের সাংবিধানিক অধিকারের দাবিতে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবজ্ঞা করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্রবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যে তথাকথিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। সংগঠনটির নেতারা বলছেন,  বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আাদিবাসী হতে পারে না। উপজাতীয়দের আদিবাসী ইস্যুটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতকারী এবং দেশ ভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, অধ্যাপক শাহ্জাহান শাজু। পার্বত্য গণ পরিষদের চেয়ারম্যান কবি মাহমাদুল হাসান নিজামী। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য, শেখ আহাম্মদ রাজু। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ রানা। পিবিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সারোয়ার জাহান খান প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন,  বাঙালীরাই বাংলাদেশে আদিবাসী। বাংলাদেশের মহান সংবিধানের  অনুচ্ছেদ ৬(২) এ স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন এবং অনুচ্ছেদ ২৩(ক): রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি,  ক্ষুদ্র জাতিসত্তা,  নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। অন্যদিকে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আাদিবাসী হতে পারে না। উপজাতীয়রা আদিবাসী ইস্যুটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতকারী এবং দেশ ভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি শিঘ্রই এই  বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অধ্যাপক শাহ্জাহান শাজু বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সরকারের নির্দেশনা না মেনে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে  তথাকথিত আদিবাসি দিবসের নামে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। আর দেশের কিছু সুশীল এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছে। এটা একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। বিদেশী কয়েকটি রাষ্ট্র ও এনজিও সংস্থার মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে  একশ্রেণির মানুষ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিতর্কিত আদিবাসি দিবস পালন করছে।
বক্তারা বলেন,  উপজাতি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেদের মিথ্যে আদিবাসী পরিচয় দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এসব দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ