বগুড়ায় পানিতে ফেলে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা
বগুড়া অফিস : বগুড়ার গাবতলীতে সাবেক স্বামী নির্মম প্রহারের পর পানিতে ফেলে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা করেছে। শনিবার সকালে পুলিশ গাবতলী ফিসারী পুকুরের পশ্চিম পার্শ্বে একটি ডোবা থেকে নাহিদা আকতার বীথি (৩০) এর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃত হলেন- হত্যার মূল নায়ক সাবেক স্বামী গাবতলী পৌর এলাকার গোড়দহ উত্তর পাড়া গ্রামের নিহত আবু মুসার ছেলে জিল্লুর রহমান (৩৫), তার মা গোলেবানু (৬০) ও ২য় স্ত্রী মুন্নি আকতার। প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে পুলিশের কাছে জিল্লুর রহমান সাবেক স্ত্রী নাহিদা আকতার বীথিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই রেজিস্ট্রি মূলে জিল্লুর রহমানের সাথে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার আমদিয়ার পাড়া গ্রামের আইয়ুব হোসেনের মেয়ে নাহিদা আকতার বীথির সাথে বিয়ে হয়। ১২ বছর সংসার করার পর তাদের কোনো সন্তান হয়নি। ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। গত ৪ আগস্ট ঘটনার দিন গত অনুমান ১০ টায় নাহিদা আকতার বীথি সতিনের সাথে ঘর সংসার করার জন্য সাবেক স্বামী জিলুøর রহমানের কাছে গাবতলী গোড়দহ উত্তর পাড়া তার বাড়িতে আসে। এসময় জিল্লুর তাকে নিয়ে আর ঘর সংসার করবেনা জানালে বীথি জিল্লুর রহমানের সামনে ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ পান করে। একপর্যায়ে ওই রাতেই জিল্লুর বীথিকে গাবতলী উপজেলার উত্তরে ফিসারী পুকুরের পশ্চিম পার্শ্বে একটি ডোবার কিনারে নিয়ে এসে মুখে, গালে, মাথায়, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী কিলঘুষি মেরে বীথিকে পানিতে ফেলে দেয়।
সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে বিথী মারা যায়। শনিবার স্থানীয়রা ডোবায় বীথির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেয়। সেখান থেকে পুলিশ নাহিদা আকতার বীথির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
গাবতলী মডেল থানার ওসি খায়রুল বাসার জানান, হত্যার মূল নায়ক সাবেক স্বামী জিল্লুর রহমান, তার মা গোলেবানু ও ২য় স্ত্রী মুন্নি আকতারকে আটক করেছে পুলিশ। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।