শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার) পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট আইন (বিধিমালা) প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে এক বছরের মধ্যে আইন (বিধি) প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবি এম নুরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন ও মহিউদ্দিন মহিম।
এক বছরের মধ্যে এ আইন (কোড) প্রণয়ন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০১২ সালে শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে আইন (কোড) প্রণয়নের জন্য জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম। আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। সরকার পক্ষে ছিলেন সহকারি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে আইন (কোড) প্রণয়নের জন্য রিট করা হয়েছিল। এর জবাবে সরকার এ বিষয়ে  কোড প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপর শুনানি  শেষে আদালত সরকারের প্রক্রিয়াধীন  কোডটি এক বছরের প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর মধ্যে কিন্ডার গার্টেন, কওমি মাদরাসা  থেকে শুরু করে সকল প্রকার  বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর আওতায় থাকবে।
এ বি এম নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে। যা সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ ১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবরে করা প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রম নীতি মালাগুলো রাষ্ট্রপতি বা সংসদ প্রণয়ন করেননি।
তিনি বলেন, আমি শিক্ষা ব্যবস্থায় সুনির্দিষ্ট আইন চেয়ে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছিলোম। বিগত পাঁচ বছর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেছি। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে আদালত নির্দেশনা দিয়ে রায়  ঘোষণা করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ