শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

গ্রিন-ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির শিরোপার লড়াই আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার : ‘ওয়ালটন প্রথম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল’ টুর্নামেন্টের শিরোপা লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হচ্ছে গ্রিন-ফারইস্ট ইউনিভার্সিটি। ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৪ জুলাই থেকে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে শুরু হয় সোনালী অতীত ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। ২৬ জুলাই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও ভারি বর্ষণের কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। আজ কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি বিকেল ৪টায় শুরু হবে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে এটিএন বাংলা। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ২ লাখ ও রানার্স-আপ দল ১ লাখ টাকা প্রাইজমানি পাবে। গতকাল বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে ফাইনাল পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর (হেড অব স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সোনালী অতীত ক্লাবের সদস্য ও এক সময়কার তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু ও দুই দলের অধিনায়ক। ফাইনালে নিজেদের টার্গেট সম্পর্কে গ্রিন ইউনিভার্সিটির অধিনায়ক বশির উদ্দিন বলেন, ‘লক্ষ্য অবশ্যই শিরোপা জেতা। আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো। টিম কম্বিনেশনও বেশ ভালো। আশা করছি ভালো খেলা উপহার দিয়ে শিরোপা জিততে পারব। ফারইস্ট ইউনিভার্সিটি ভালো খেলেই ফাইনালে এসেছে। আমাদের দলে চারজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিল। প্রিমিয়ার লিগ চলার কারণে তার মধ্যে দুজন ফাইনালে খেলতে পারছে না। তারপরও আমরা যারা আছি সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবো।’
অপরদিকে ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির অধিনায়ক মো. মাইনুল আবেদীন সুজয় বলেন, ‘আমরা প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি সোনালী অতীত ক্লাবকে। আমাদের খেলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। গ্রিন ইউনিভার্সিটি বরাবরই ভালো দল। তারা দারুণ খেলে ফাইনালে এসেছে। তাদের দলে বেশ কয়েকজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়ও রয়েছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলের বিপক্ষে খেলতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। তারপরও ফাইনালে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো তাদের বিপক্ষে ভালো খেলে শিরোপা জেতার।’ টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৭ লক্ষ টাকা স্পন্সর এসেছে। এর মধ্যে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাকী টাকা আমাদের হাতে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যা থাকবে তা আমরা পরবর্তী টুর্নামেন্টে ব্যয় করবো। একটি টাকাও নষ্ট হবে না ইনশাল্লাহ।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ