শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আবারো দ্রুততম মানব মেজবাহ-মানবী শিরিন

স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের দ্রুততম মানব-মানবীর খেতাব ধরে রেখেছেন মেজবাহ আহমেদ ও শিরিন আক্তার। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকের শেষ দিনে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ন রেখেছেন নৌবাহিনীর এ দুই অ্যাথলেট। পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে শাহ ইমরান ও শরীফুল ইসলামকে পেছনে ফেলে সেরা হন মেজবাহ। ১০ দশমিক ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ইমরান দ্বিতীয় ও ১১ দশমিক ১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে শরীফুল তৃতীয় হয়েছেন। জাতীয়, সামার ও বাংলাদেশ গেমস মিলিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে এটি মেজবাহর ষষ্ঠ স্বর্ণ পদক। শিরিনের পঞ্চম। চ্যাম্পয়নশিপ শুরুর আগে মেজবাহ আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমি মোশারফ হোসেন শামীম ভাইয়ের টানা ছয়বারের রেকর্ড স্পর্শ করতে চাই।’ শনিবার স্বর্ণ ধরে রাখার পর মেজবাহ তার পূর্বসুরির রেকর্ড টপকানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী অগাস্টে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে লন্ডনের ট্র্যাকে নামার আগে দেশের ট্র্যাকের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে জানিয়েছেন মেজবাহ। “এই ইভেন্ট নিয়ে আমি খুব আশা করে ছিলাম। কেন না, সামনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, এখানে খারাপ করলে ওখানে ভালো কিছু করা কঠিন হয়ে যেত। টাইমিংয়ে আমি খুশি না। কিন্তু এই মাঠে আসলে এর চেয়ে ভালো টাইমিং করা সম্ভবও না। কেন না, এই টার্ফ অনেক পুরান হয়ে গেছে, তাই স্লো হয়ে গেছে।” সামনে এসএ গেমসও আছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটিক্সের সাফল্য খরা কাটাতে হলে ফেডারেশনের কাছে কিছু দাবিও জানিয়ে রাখলেন দেশের এই দ্রুততম মানব। “আরও ভালো কিছু করতে হলে আমাদের সবকিছু আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। যেমন ইলেক্ট্র্রোনিক্স টাইমিং হলে ভালো হয়। কদিন আগে কিন্তু আমি ভুবনেশ্বরে ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিং ১০.৮৮ সেকেন্ডে দৌড়ে এসেছি।”
এদিকে মেয়েদের ১০০ মিটারে দৌড় শেষ করতে শিরিন সময় নেন ১২ দশমিক ৩০ সেকেন্ড। সোহাগী আক্তার ১২ দশমিক ৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় ও সুস্মিতা ঘোষ ১২ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে তিনবার ও সামার অ্যাথলেটিক্সে দুইবার সেরা হলেন শিরিন।গত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে দ্রুততম মানবী শিরিনকে না পাঠিয়ে আলিদা শিকদারকে পাঠিয়েছিল ফেডারেশন।
ওই ঘটনা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে শিরিন কৌশলী উত্তরই দিলেন। এমনকি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে না যেতে পারলেও ক্ষুব্ধ নন তিনি। “আসলে ওভাবে রাগ বা অন্য কিছু ছিল না। আমাদের অভিভাবকরা যেভাবে মনে করেছে, সেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার এগুলো নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমার মাথা ব্যাথা নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে। আমাকে কোথায় পাঠাবে, কোথায় পাঠাবে না এসব নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।” শিরিন আক্তারের আত্মবিশ্বাস, ‘কোনো কিছু অসম্ভব নয়। প্রয়োজনী ট্রেনিং করতে পারলে এসএ গেমসে স্বর্ণ জিততে পারবো ইনশাল্লাহ। আমি পঞ্চমবার দ্রুততম মানবী হলাম। আগামীতে টাইমিং আরো ভালো করতে চাই।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ