ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার’ সৎ বাবার
অনলাইন ডেস্ক: এক তরুণীর করা ধর্ষণের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার সৎ বাবা আরমান হোসেন সুমন।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের কামরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী সুমন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দুই দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে এদিন তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।
মায়ের সাথে সৎ বাবা
জবানবন্দি দেওয়ার পর সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানিয়েছেন।
গত ১১ জুলাই রাতে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমান হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন এক তরুণী।
৩৮ বছর বয়সী সৎবাবার বিরুদ্ধে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর অভিযোগ, তাকে গত আট বছর ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।
পরদিন সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই তরুণী মামলায় অভিযোগ করেছেন, সৎ বাবা সুমনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তিনি একবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। পরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এই তরুণীর বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে সুমনের সাথে তার মায়ের বিয়ে হয়। এর এক বছর এই সুমনের বাসায় থাকা শুরু করেন মামলার বাদী।
বাদীর অভিযোগ, ২০০৮ সালে যখন তার বয়স ১২ বছর তখন মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় তার মায়ের অনুপস্থিতিতে সুমন তাকে ধর্ষণ করে ছবি তুলে রাখেন। পরে এই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বহুবার তাকে ধর্ষণ করা হয়।
অতিষ্ঠ হয়ে গত বছর বাসা ছেড়ে খালার বাসায় উঠেছিলেন বলে জানান ওই তরুণী। এরপর ওই তরুণীর বন্ধুর কাছে সুমন ওই সব ভিডিও পাঠান বলে মামলায় বলা হয়।-বিডিনিউজ