শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঢাকার সীমানা ছাড়িয়ে চিকুনগুনিয়া

 

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : ঢাকার ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়ার মোটা কষ্টের পর এবার তার সীমানা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। রাজধানীতে আক্রান্তদের মধ্যে নিহতের খোঁজ খবর পাওয়া না গেলেও বাইরে চিকুনগুনিয়ায় মারা যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসছে। তবে, ঢাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জুলাই রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুলিশ কনষ্টেবলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার কি ধরনের জ্বর হয়েছিল, তা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই জানানোর কথা বলেছে সংশ্লিষ্টরা। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম শফিকুল ইসলাম (পরিচিতি নাম্বার : ০১৯৯৫৭১৯০৮১০০০২৭৯)। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পিওএম পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন এই পুলিশ সদস্য। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ বিভাগের সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বে অবহেলাসহ সচেতনতার অভাবেই চিকুনগুনিয়া রাজধানীতে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তা এখন মহামারি পর্যায়ে ঠেকেছে বলে অভিযোগ উঠলেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নানা বাতচিতের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকার বাইরে কমপক্ষে আরও সাতটি জেলায় চিকুনগুনিয়ার রোগী পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। জেলাগুলো হলো নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নেত্রকোনা ও জয়পুরহাট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে নরসিংদীতে। অন্য জেলাগুলোতে একজন-দুজন করে। স্বাস্থ বিভাগের নজরের বাইরে বরিশালের আগৈলঝড়ায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয়রা। তার নাম আব্দুছ ছালাম মুন্সি (৪৫)।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘এই জেলাগুলো থেকে আমরা লিখিতভাবে রোগীর কথা জেনেছি। লক্ষণ দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। তবে ওই সব জেলায় চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই।’

আইইডিসিআর গত সপ্তাহে ঠাকুরগাঁওয়ে চিকুনগুনিয়ার রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছিল। ওই জেলার সিভিল সার্জন আবু মোহাম্মদ খয়রুল কবির বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে। এরা সবাই ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও গেছে।

এত দিন বলা হচ্ছিল, চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করার যন্ত্র শুধু আইইডিসিআরে আছে। তবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদেরও চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করার যন্ত্র আছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষার জন্য যথাক্রমে চার ও পাঁচ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। আইইডিসিআরে বিনা মূল্যে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কমিটির সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এই কমিটি। এ ছাড়া চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এবং মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দেবে। তিনি জানান, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রতি ১১ জনে একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

আইইডিসিআরে গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় ৩ হাজার মানুষ চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা করিয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৪৯ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে।

চিকুনগুনিয়া বিষয়ে দুটি মুঠোফোনে পরামর্শ সেবার ব্যবস্থা করেছে আইইডিসিআর। ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১ নম্বর থেকে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই ঢাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই আইইডিসিআরে এই রোগ শনাক্ত করতে নমুনা পরীক্ষা চলছে। এ বছরের এপ্রিল থেকেই রাজধানীর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীর ভিড় বাড়তে থাকে। ভিড় বাড়তে থাকে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও। চিকুনগুনিয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এটা মহামারি কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী এটাকে মহামারি বলতে রাজি নন। চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার জন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের ‘ব্যর্থতাকে’ দায়ী করেছেন।

চিকুনগুনিয়া মহামারি কি না? জানতে চাইলে মহামারি বিশেষজ্ঞ ও আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাহ্মুদুর রহমান বলেন, চিকুনগুনিয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যে পরিমাণ মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে এটা অবশ্যই মহামারি।

কীটতত্ত্ববিদ তৌহিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট এলাকায় হঠাৎ করে কোনো রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হলে তা মহামারি। সেই হিসাবে এটা মহামারি।

চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা নিধনের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরাও জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক মাহ্মুদুর রহমান আক্রান্ত রোগীকে সব সময় মশারির ভেতর আলাদা করে রাখার পরামর্শ দেন।

ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন গত শুক্রবার নগর ভবনে আয়োজিত চিকুনগুনিয়া সংশ্লিষ্ট এক অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি এলাকায় চিকুনগুনিয়া মহামারি আকারে ছড়িয়েছে, এটা বলা যাবে না। এখানে চিকুনগুনিয়া মহামারির ধারেকাছেও নেই। আগামী তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই এটি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাঁর দাবি, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম। ওই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে এত দিন মশা মারার কার্যক্রম চলছিল। নতুন কর্মসূচিতে সব লোকবল ও যন্ত্রপাতি একত্র করে একেকটি অঞ্চল ধরে অভিযান চালানো হবে। অভিযানে ১৪৮টি ফগার মেশিন ও ২৭১টি হস্তচালিত মেশিন ব্যবহার করা হবে।

একই দিন দুপুরে উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক চিকুনগুনিয়ার দায় সিটি কর্পোরেশনের ওপর নয় বলে দায় এড়িয়ে বলেন, ‘আপনার ঘরের ভেতরে যেয়ে আমি মশারি খাটাতে পারব না। আপনার ছাদের ওপরের চৌবাচ্চায় আমি ওষুধ লাগাতে পারব না। আপনার ঘরের ভেতরে যে সামান্য স্বচ্ছ পানিতে মশা জন্মাচ্ছে, সেটি আমি মারতে পারব না।’ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ তথা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসির নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করতে গুলশানে ডিএনসিসির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দেয়া আনিসুল হকের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অনেকে এই বক্তব্যকে করদাতা নাগরিকদের প্রতি জনপ্রতিনিধির তাচ্ছিল্য ও অবহেলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেকে একে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে উল্লেখ করেছেন। এই বক্তব্যের পরদিন শনিবার দুপুরে পৃথক এক অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক তার দেয়া ওই বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।

ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দুজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র আনিসুল হক বলেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি হোক আর যা-ই হোক, এ জন্য কোনোভাবেই সিটি করপোরেশন দায়ী নয়। চিকুনগুনিয়ার প্রধান কারণ ঘরের ভেতরে জন্ম নেয়া মশা। সে পর্যন্ত পৌঁছানো সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়।

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়ে মেয়র তাঁর লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, এ বছর চিকুনগুনিয়া নিয়ে আগাম কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। পূর্বাভাস থাকলে এই রোগ প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হতো।

এ সময় সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই আইইডিসিআর ৩০ জন চিকুনগুনিয়ার রোগীকে শনাক্ত করেছিল। বিশেষজ্ঞরা তখন বলেছিলেন, এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তখন কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না?

জবাবে মেয়র বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আজই প্রথম শুনলাম।’

পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শফিকুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার কী ধরনের জ্বর ছিল, তা জানা যায়নি। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শফিকুলের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বরফড়িয়া এলাকায়। তার কনস্টেবল নম্বর ৩৪১৮। পাঁচ-ছয় দিন ধরেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার (১২ জুলাই) তাকে ভর্তি করা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে। অসুস্থতা বাড়লে শুক্রবার সন্ধ্যায় সহকর্মী আরিফ তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম মিরপুর-১৪তে পিওএম-এ কর্মরত ছিলেন। জ্বরের কারণে তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ও ওষুধ দেয়া হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে রাজারবাগ হাসপাতাল থেকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। ওয়ার্ডে নেয়ার পর রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’

আমাদের আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চিকুনগুনিয়ায় সালাম মুন্সি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ খবর মুহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্তরে ছড়িয়ে পড়ায় চিকুনগুনিয়া আতংকে ভুগছে সাধারণ জনগণ।

সালামের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ গৈলা গ্রামের মৃত করিম মুন্সির ছেলে আ.সালাম মুন্সি (৪৫) ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। ঢাকায় অবস্থানকালে সালাম চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই দিন পর গত বুধবার সকালে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন সালাম। জ্বরের সাথে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা ছিল বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে হঠাৎ সালাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তার পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহাবুব হাসান তাকে চিকিৎসা দেয়ার আগেই সালাম মারা যান। ডা. মাহাবুব হাসান বলেন, জ্বর নিয়ে রোগী আসলেও কোন পরীক্ষা নিরীক্ষার আগেই তিনি মৃত্যু বরণ করেণ। তবে সালামের পরিবারের দাবি সালাম চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওই চিকিৎসক আরও জানান, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা গেলেও উপজেলা হাসপাতালে এর কোন ব্যবস্থা নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ