বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চারঘাটে শোয়ার ঘরে মিললো গোখরার ১২টি বাচ্চা

চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের গ্রামশিবপুর গ্রামের একটি বাড়ির শোয়ার ঘর থেকে দু’দফায় ১২টি বাচ্চা গোখরা পিটিয়ে মারা হয়েছে। তবে মা গোখরাটি পালিয়ে গেছে বলে বাড়ির মালিক মেহেদি হাসান জানান। এনিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মেহেদি হাসান জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর হঠাৎ শোবার ঘরের দরজার কাছে একটি বাচ্চা গোখরা দেখে মারা হয় এর একটু পর একই ঘরের খাটের নিচে আরেকটি বাচ্চা গোখরা দেখে সন্দেহ হলে পুরো ঘর খুঁজে ঘরের কোনায় একটি গর্ত থেকে ৬টি বাচ্চা গোখরা মারা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কে সারা রাত কেউ ঘুমাতে পারেনি। তিনি জানান, গতকাল শনিবার সকালে একই গর্ত থেকে একটি মা গোখরা দেখে ওঝাকে খবর দিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি তবে সেখান থেকে আরো ৬টি বাচ্চা গোখরা মারা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাত থেকেই খবর পেয়ে এলাকার উৎসুক জনতা মেহেদি হাসানের বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। এদিকে শোবার ঘরে দফায় দফায় বাচ্চা গোখরা বের হওয়া ও মা গোখরাকে খুঁজে না পাওয়ায় সাপ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পরিবারটি। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী অঞ্চলে গোখরা সাপের উৎপাতে পুরো জেলায়া এখন সাপের আতংক দেখা দিয়েছে। তবে এসব গোখরা সাপ দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মাটির ঘরে।
ইউপি সদস্য আটক
রাজশাহীর চারঘাটে ২৫ গ্রাম হেরোইনসহ ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল দশটার দিকে চারঘাট-বানেশ্বর মহাসড়কের শিশুতলা নামক স্থানে শরীর তল্লাশি করে হেরোইনসহ তাকে আটক করা হয়েছে।
আশরাফ আলী উপজেলার শলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য এবং ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। তিনি উপজেলার চামটা গ্রামের মৃত গোলাম পাঞ্জাতনের ছেলে। এ বিষয়ে এসআই মামুন বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেছেন। মডেল থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, ইউপি সদস্য আশরাফ আলী একজন মাদক স¤্রাট। সে জনপ্রতিনিধির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। শনিবার সকালে পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে আশরাফ আলী হেরোইন নিয়ে বানেশ্বরের দিকে যাচ্ছে। পরে আশরাফ আলী নিল রংয়ের এপাচি মটর সাইকেলযোগে শিশুতলা নামক স্থানে পৌঁছলে পুলিশ তার শরীর তল্লাসি করে হেরোইনসহ তাকে আটক করে। শনিবার দুপুর এগারোটার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মাওলানা মালেকের
ইন্তিকালে রাজশাহী নগর
জামায়াতের শোক
জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর সাবেক শূরা কর্মপরিষদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এবং রাজশাহী জেলার সাবেক আমীর বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন জামায়াত নেতা আব্দুল মালেক (৫৯)-এর  ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, জামায়াতের রাজশাহী জোন পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মহানগরীর আমীর প্রফেসর আবুল হাশেম, নায়েবে আমীর প্রফেসর নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আবু মোহাম্মাদ সেলিম, মহানগর সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
রাজশাহীতে আরডিএ’র
জমি অধিগ্রহণ আতঙ্কে
দশটি পরিবার
রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী মোড় এলাকায় জমি অধিগ্রহণের শঙ্কায় আতঙ্কে পড়েছে ১০টির বেশি পরিবার। অনেক কষ্টে কেনা একখ- জমিতে বাড়ি করার জন্য রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নেয়ার জন্য গেলেও ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানা গেছে, নগরীর তালাইমারী মোড়ের পশ্চিম-উত্তর পাশে রাস্তা বাদ দিয়ে আরডিএ কর্তৃপক্ষের বেশিকিছু জায়গা আছে। তার পাশেই ওই পরিবারগুলোর জায়গায়। যেগুলো এখন গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভুক্তভোগিদের কয়েকজন জানান, ১৯৮১-৮২ সালে এলএ কেসের মাধ্যেমে আরডিএ কর্তৃপক্ষ সেখানে জমি অধিগ্রহণ করেন। সেখানে আরডিএ কর্তৃপক্ষের মোট ৩০ কাঠা জমি আছে। সেই জমির কিছু অংশ দিয়ে রাস্তা গেছে। অবশিষ্ট আছে আরো কিছু অংশ। সেই অবশিষ্ট জমিতে চত্বর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে আরডিএ কর্তৃপক্ষ। সেজন্য পাশের জমিগুলো অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অধিগ্রহণের আতঙ্কে থাকা একজনের নাম রোকসানা বেগম। ২০০৪ সালে সেখানে অনেক কষ্টে তিনি ৮ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। নিজের কেনা জমিতে মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে বাড়ি করার পরিকল্পনা করেন তিনি। রোকসানা বেগম জানান, বাড়ি নির্মাণের জন্য তিনি আরডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছিলেন এনওসি নেয়ার জন্য। কিন্তু তাকে এনওসি দেয়া হয়নি। এর পরিবর্তে তাকে জানানো হয়েছে যে, সেখানে আলাদা একটি চত্বর বানানো হবে। সে কারণে এনওসি দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারাতে হয় তাহলে তো সব শেষ হয়ে যাবে। আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। চত্বর বানানোর মতো আরডিএ’র জায়গা আছে। এরপরেও যদি অধিগ্রহণ করে তাহলে সন্তানদের নিয়ে পথে বসতে হবে।’ আরেক ভুক্তভোগী আজিজুল হকের ছেলে মনি জানান, আগে আরডিএ কর্তৃপক্ষ তাদের জমি অধিগ্রহণ করেছে। এরপরে তাদের মাত্র পাঁচ শতাংশ অবশিষ্ট আছে। দ্বিতীয় দফায় যদি অধিগ্রহণ করে তাহলে তাদের আর কিছুই থাকবে না। পরিবার নিয়ে তারাও হতাশার মধ্যে পড়েছেন। সালাউদ্দিন রাজু নামে আরো একজন জানান, আরডিএ’র জমি বাদ দিয়েই তাদের নিজের ১২ কাঠা জমি সেখানে আছে। অধিগ্রহণ আতঙ্কের মধ্যে তারাও পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরডিএ’র এক প্রকৌশলী জানান, চত্বরের ডিজাইনটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পাশ হয়ে আসলে চত্বরটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এদিকে অধিগ্রহণের আতঙ্কে থাকা পরিবারগুলো প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিজেদের শেষ সম্বল রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ