শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি

লালমনিরহাট সংবাদদাতা : ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল কিছুটা কমে যাওয়ায় লালমনিরহাটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি কমে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। 
এছাড়াও জেলার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি অব্যাহত ভাবে কমছে। ফলে অনেক বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে এখনো নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অন্তত ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এসব পরিবারের দুর্ভোগ এখনো কমেনি।
সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার ও পানির। এছাড়া পানিতে ভেসে আসা সাপের ভয়ে রাতে তারা ঘুমাতে পারছে না।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তবে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান জানান, সদর উপজেলায় ৫ হাজার, আদিতমারী উপজেলায় ৩ হাজার হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯ হাজার ২৫৮টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে মোট ৫ মেট্রিকটন জিআর চাল, নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।  বন্যার্তদের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা প্রায় স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিং এ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ওই সব ত্রান বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান। এসময় লালমনিরহাট জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ