শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ ১৬ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন মাসব্যাপী সংলাপ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে রোববার রোডম্যাপটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সাংবাদিকদের জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই এটি বই আকারে প্রকাশ করা হবে।

সংলাপের বিষয়ে সচিব বলেন, ৩০ জুলাই সংলাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে। সুশীল সমাজের সঙ্গে ইসির বৈঠকটি ৩১ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে। এছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে থেকে সংলাপ শুরু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ করা হবে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও আইন সংস্কারে দুইজন পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান ইসি সচিব। 

ভোটার তালিকা হালনাগাদ উদ্বোধন ময়মনসিংহে : এদিকে ,ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্বোধন হচ্ছে ময়মনসিংহে। ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা ভোটার তালিকার হালনাগদ উদ্বোধন করবেন। রোববার নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর আগামী ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।

বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজারদের যাচাই কার্যক্রম চলবে ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগাস্ট পর্যন্ত। ২০ থেকে ২২ অক্টোবর নাগরিকদের নিবন্ধন চলবে। আওতায় থাকবে না ঈদুল আজহা ও পূজার ছুটি।

এর আগে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আব্দুল বাতেন জানান, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের তথ্য একসঙ্গে ২০১৫ সালে নেয়া হয়েছিল। অনেকের অনাগ্রহে তখন নিবন্ধনের হার কম ছিল। এবার হালনাগাদে বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, পাশাপাশি মৃত ভোটারের নাম বাদ দেয়া হবে।

ইসির নির্বাচন সমন্বয় শাখার এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, নিবন্ধন কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতার জন্য বাজেট অনুমোদন করবে। কমিশনের অনুমোদন পেলেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। প্রসঙ্গত দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ভোটার রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ