শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে

মাদারীপুর  সংবাদদাতা: মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার হোগেনপুর ইউনিয়নের সত্যবতী গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকের মধ্যে বিবদমান দুই গ্রুপের  মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ  বাধে। এ সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০জন আহত হয়েছে এবং সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে । ঘটনাটি ঘটেছে  শুক্রবার (৩০-৭-১৭)সন্ধ্যায় ।  এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাজৈর উপজেলার হোগেনপুর ইউনিয়নের সত্যবতী গ্রামে ঈদের দিন মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র দুই কিশোর ওবায়দুর ও বাবুর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায় দুই জনের মধ্যে মারামারি হয় । এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জহুর গ্রুপ ও মিন্টু গ্রুপের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে বসে। পূর্ব শক্রুতা ও নির্বাচনী জের ধরে এ সালিশ বৈঠক চলাকালিন সময় মিন্টু গ্রুপের লোকজন অতর্কিতভাবে  জহুরুল গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ।  সংঘর্ষ চলাকালে রুবেল, আনো, কুদ্দুস, নারগিস, মস্তফা, মোকলেছ ও আবদুল হকের ঘরসহ প্রায় ১০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয় । এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের মহিলাসহ ৩০ জন আহত হয় । মারাতœক আহত মাবিয়া বেগম (২৪), রোকেয়া বেগম (৩৫) দেলোয়ার মাতুব্বর (৫৫), শাহিন শেখ (২২) রুবেল (৩০), জহুরআলী মাতুব্বর (৪৮), সোহেল (৩৫) পলাশ (৩০) ও লাভলু (৩৪)সহ ১৪জনকে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । অন্য আহতদের টেকেরহাটসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । পরে মুমুর্ষ অবস্থায় মাবিয়া, রোকেয়া, শাহিন ও রুবেলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ওসি কামরল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । আজ শনিবার (১-৭-১৭) দুপুরে মস্তফা মাতুব্বর বাদী হয়ে সংঘর্ষের মূলহোতা মোহরআলী ও মিন্টুসহ ৩৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ