শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঈদে জাল নোট সনাক্ত করতে খুলনার ২৭ হাট-বাজারে মেশিন স্থাপন

খুলনা অফিস : ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জাল নোট সনাক্ত করতে জেলার নয় উপজেলার ২৭ হাট-বাজারে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে জাল নোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। জাল নোট সনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক মেশিনগুলো পুলিশকে সরবরাহ করে।
পুলিশের সূত্র জানায়, জাল নোট অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ এতে প্রতারিত হচ্ছেন। মামলা মোকদ্দমায়ও জড়িয়ে পড়ছেন। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে জাল নোট চক্র সক্রিয় হয়। এই চক্রকে প্রতিরোধ করতে পুলিশ ডুমুরিয়া উপজেলা সদর, চুকনগর, দাকোপ উপজেলা সদর, চালনা বাজার, বাজুয়া, পাইকগাছা উপজেলা সদর, কপিলমুনি, চূড়ামন কাঠি, গদাইপুর, তেরখাদা উপজেলার আনন্দ নগর, আজগড়া, রূপসা উপজেলার কাজদিয়া, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, ফুলতলা উপজেলা সদর, বটিয়াঘাটা উপজেলা সদর, বারআড়িয়া ইত্যাদি হাটে-বাজারে মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা সদরের বাজারে তিনটি করে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ঈদের বাজারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলায় ৮৫৬ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। খুলনা মহানগরীর নিউ মার্কেট, জলিল টাওয়ার, আক্তার চেম্বার, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, ময়লাপোতা, শিববাড়ী আড়ং এলাকা, বড় বাজার, সোহরাওয়ার্দ্দী মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, বৈকালী বাজার, চিত্রালী বাজার, দৌলতপুর বাজার ও ফুলবাড়ী গেটে বিকিকিনি নিশ্চিত করতে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। জেলার ২৫টি লঞ্চ ঘাট, রূপসা ঘাট, দিঘলিয়া ঘাট ও পানখালি ফেরি ঘাটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। খুলনা রেল স্টেশন, দামোদর ও বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনে এবং ডাকাতি প্রবন এলাকা ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশা, ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল, চুকনগর, পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর, খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এবং সাত রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) সিএ হালিম এবং কেএমপির স্পেশাল ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে এ তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ