শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে বুটিক ও চুমকি শিল্পীরা ব্যস্ত

মাগুরা থেকে ওয়ালিয়র রহমান: মাগুরায় বুটিক ও চুমকি শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।  বুটিক ও চুমকির কাজ করে প্রায় ৫ শতাধীক মহিলা জীবিকা নির্বাহ করছে। ।।ঈদকে সামনে রেখেই তাদের এ ব্যাস্ততা।  মাগুরা জেলার ৪ উপজেলার  পাঁচ শতাধীক মহিলা নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছে এ বুটিক কারখানা। তাদের বুটিক কারখানায় মহিলারা শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রিপিচ ব্লাউজ,টুপি, চাদর, কাথা প্রভৃতিতে চুমকি, সুতা, স্টোন, স্প্রিং লাগিয়ে আকষণীয় করে তুলছেন। সুন্দর ও কারু কার্যময় এ সকল পোশাক স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন দোকান গুলোতে সরবরাহ করে ভাল মুনাফা অর্জন করে নিজেদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। মাগুরার এসব কারখানায় সারা বছরই কাজ হয় তবে ঈদ পূজা পার্বনে তাদের ব্যস্ততা একটু বেশী থাকে। মাগুরার তৈরী আকর্ষণীয় এসব পোশাক মাগুরার বাজার ছড়িয়ে ঢাকার ও বিদেশের অভিজাত বিপনি বিতানে শোভা পাচ্ছে। মাগুরার শিল্পীদের তৈরী আধুনিকও রুচিশীল কারুকার্যময় এসব পোশাক তরুন তরুনীদের  কাছে খুবই আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। মাগুরার বুটিক, চুমকিও কারু কারখানায় গিয়ে দেখা যায় মহিলা কর্মিরা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ার একটি বুটিক কারখানায় দেখা যায় মহিলা কর্মীরা শাড়ি, পাঞ্জাবি,ফতুয়া, থ্রিপিচ, টুপি,চাদর, কাতা প্রভৃতিতে চুমকি, সুতা, স্টোন, স্প্রিং প্রভৃতি লাগিয়ে পোশাক গুলোকে আকর্ষনীয় করার কাজে লিপ্ত। কারখানার মালিক আসমা খাতুন জানান, তার কারখানায় ১৫০ জন মহিলা কাজ করেন। এখানের একটি শাড়ির দাম ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং নি¤েœ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা। পাঞ্জাবি রয়েছে ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। থ্রিপিচ ১২ শ তেকে ৩ হাজার টাকা এবং ফতুয়া ৫ শ থেকে ১২ শ টাকা। এখানে মহিলাদের সবাইকে কাজের উপর ভিত্তি করে মজুরি দেয়া হয়।  চুমকি, স্প্রিং, স্টোন সুতার কাজ করে জনপ্রতি ১হ্জার থেকে ১৫০০ টাকা উপার্জন করে থাকে।

মাগুরায় এ ধরনের ব্যক্তি উদ্যোগে ৫০ টি হাতের কাজের কারখানা গড়ে উঠেছে। ঈদকে সামনে রেখে কারখানার শ্রমিকদের অবসর নেই।পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রিপিচ, নকশি কাথা,টুপি চাদওে চুমকি, বুটিক বসানোর কাজে ব্যস্ত তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ