শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিক গ্রেফতার

 

সংগ্রাম ডেস্ক : গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শাহেদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক বাংলাদেশী কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পদবি ‘ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ’ এবং তিনি নিউইয়র্কের কুইনসের পাশে জ্যামাইকা এলাকায় বাস করতেন। নতুন বার্তা।

গত সোমবার সকালে নিউইয়র্কের কুইনস বরো থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিবিসি বাংলা জানায়, বাংলাদেশের ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউইয়র্কে তার বাসায় এক বাংলাদেশী গৃহকর্মীকে তিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি হুমকি দিয়ে বিনা বেতনে ওই গৃহকর্মীকে কাজ করতে বাধ্য করেছেন।

কুইনস কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিশদ বিবরণও রয়েছে। বিবরণে বলা হয়, মোহাম্মদ আমিন নামের ওই শ্রমিক (গৃহকর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরপরই শাহেদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন। এরপর তাকে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করেন।

আনুমানিক ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই ওই গৃহকর্মীকে বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরপর ওই গৃহকর্মী গত বছর মে মাসে পালিয়ে যান এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

নিউইয়র্কের কুইনস বরোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন এমন অভিযোগকে খুবই উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ব্রাউন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কনস্যুলার তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই ওই কর্মীকে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন।

তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন এবং অন্য দেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন আরো জানান, শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

আর এ বিষয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলামকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে, তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি। আগামী ২৮ জুন তাকে আবারো আদালতে হাজির হতে হবে।

শামীম আহসান জানান, তার ধারণা মোহাম্মদ আমিন নামের ওই ব্যক্তি যা বলছেন, তা সত্য নয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। -সংবাদমাধ্যম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ