শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মুরাদনগরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৬ ডাকাত হতাহত

মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের পাটুয়াটুলি নামক স্থানে গাছ ফেলে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে শনিবার রাতে ডাকাত-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় অর্ধ-শতাধিক গুলী বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ ডাকাত গুলীবিদ্ধ ও ৩ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামাল উদ্দিন নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনার সময় বিপুল পরিমান অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলী উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, পাটুয়াটুলি নামক স্থানে গাছ ফেলে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে ডাকাতির খবর পেয়ে এস আই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শনিবার রাত অনুমান দেড়টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলী ছোড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশও পাল্টা গুলী ছোড়লে ডাকাতদের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আরো কয়েকটি পুলিশ দল এবং এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় তিতাস উপজেলার খানেবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ফারুক মিয়া (২৮), ডাকাত দলের সদস্য জাহাপুর গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন (৩০), একই গ্রামের মোশাররফ মিয়ার ছেলে শাহপরান (২৯), দাউদকান্দি উপজেলার পিপুলিয়া কান্দি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মহসীন মিয়া (৩১), চাদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া (৩২) গুলীবিদ্ধ ও এএসআই সুমন চাকমা (৩৩), মাসুদ রানা (৩৪) কনষ্টবল মহব্বত হোসেন (৪৫) আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলীবিদ্ধ ৫ জনসহ চান্দিনা উপজেলার রশিদপুর গ্রামের মৃত চান মিয়া ব্যাপারীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৫) ও শরিয়তপুর জেলার ডামড্যা উপজেলার উত্তর খান গ্রামের মেহের চান গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে আরো দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সময় ২টি এলজি, ৪ রাউন্ড গুলী, ৬টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ১টি সাবল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গুলীবিদ্ধ ডাকাত ও পুলিশদের চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় রাতেই ডাকাতদের কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রোববার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলীবিদ্ধ ডাকাত কামাল উদ্দিন মারা যায়।
মুরাদনগর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আশ-পাশের এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় ২৫/৩০ জনের ডাকাত দলটি নিবৃত করতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও পুলিশের ২৬ রাউন্ড গুলী খরচ করতে হয়েছে। আটককৃত প্রত্যেক ডাকাতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। উক্ত ডাকাতির ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ