বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বাজেটে নতুন ভ্রমণ কর ॥ পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাবের আশংকা

# সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্ত  নেতিবাচক -সভাপতি, টোয়াব
# ভ্রমণ খরচ বাড়লে প্রতিক্রিয়া আসবে -জিএম, বিমান
শাহেদ মতিউর রহমান : বাজেটে ভ্রমণের উপর নতুন করে কর বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর দ্বিগুন করায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষ্দ্ধু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
একই সাথে সার্কভুক্ত দেশের বাইরে ভ্রমণে আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতির আশংকা করছেন বিমান ভ্রমণকারী ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
তারা মনে করছেন সরকারের এ সিদ্ধান্তে পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পরবে।
সূত্রমতে, এশিয়ার বাইরে ভ্রমণের জন্যে চলতি অর্থবছরে প্রতিজন বিমান যাত্রীকে ১ হাজার টাকা আবগারী শুল্ক দিতে হয়। এবারে প্রস্তাবিত বাজেটে তা দ্বিগুন করে ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব এসেছে। এশিয়ার বাইরে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে চলতি অর্থ বছরে প্রতি যাত্রীকে আগবারি শুল্ক দিতে হয় পনের শত টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে তা দ্বিগুন করে ৩ হাজার করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জোর করে কর আরোপিত হলে বিদেশ ভ্রমণ সীমিত হয়ে পড়বে, ভ্রমণ পিপাসুরা নিরুৎসাহীত হবে বলে মনে করছেন বিমান ভ্রমণকারীরা ।
প্রবাসিদের একজন ক্ষুদ্ধ মনোভাব ব্যক্ত করে  বলেন, আমি বাইরের একটি দেশে থাকি।  আসার সময় ২৭ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট করে এসেছি, যখন সামনে দেখবো ৪০ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হবে। এরকম হলে তো আমার দেশে আসার দরকার নাই। আরেকজন বলেন, এভাবে আমরা কিন্তু ভ্রমণের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি। হয়তো বাইরের দেশ  থেকে যারা আসবে তারা তাদের প্রয়োজনে আসবে কিন্তু  আমরা কিভাবে ভ্রমণ করবো?  এভাবে আমাদের ট্যুরিজম খাতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন খাতকে আরো সমৃদ্ধশালী করার সরকারের যে শ্লোগান ছিল, ভ্রমণ শুল্ক দ্বিগুন করে সরকার তার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর পরিচালক তৌফিক রহমান বলেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত একেবারে নেতীবাচক। সরকার বলছে তারা পর্যটন বান্ধব সরকার, তারা পর্যটনে আরো উন্নয়ন চান, কিন্তু সরকারের এ জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে তারা পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রাখছেন না।
দেশের রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা মনে করেন সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আসা যাওয়া কমবে। এটি বিমানের আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেবে।
বাংলাদেশ বিমানের জিএম (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অনেকেই দেশের বাইরে বেড়াতে যাচ্ছে, তাদের জন্যে কিছু টাকা সাশ্রয় করা মানে অনেক কিছু সাশ্রয় করা । যাত্রীদের ভ্রমণ খাতে খরচটা বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই এর প্রতিক্রিয়া আসবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ