শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রহমত মাগফিরাত নাজাতের মাস রমযান

স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র রমযান অন্যান্য মাসের ন্যায় একটি চান্দ্রমাস। কিন্তুু এই রমযান মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক। পবিত্র রমযান মাসে বিশ্ব মানবতার মুক্তির গাইডবুক মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে। আর এ মাসেই পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর রয়েছে। যার কারণে পবিত্র রমযান মাসের এত গুরুত্ব ও মর্যাদা। মহান রাব্বুল আ'লামীন রমযান মাসের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন : ‘শাহরু রামাযান আল্লাযী উনজিলা ফী হিল কুরআন....' অর্থাৎ রমযান মাস সেই মাস যাতে আল কুরআন নাযিল হয়েছে যা বিশ্ব মানবতার পথ প্রদর্শক, সত্য মিথ্যার সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী ও পার্থক্যকারী। যে রাত্রিতে এ কুরআন নাযিল হয়েছে তাও এ রমযান মাসে। রমযান মাসের শেষ দশ দিনের যে কোন বেজোড় রাত্রিতে। এ রাত্রটিকে মহান রাব্বুল আলামীন ‘লাইলাতুল কদর' বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ রাত্রকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। সূরা আল বাকারা ও সূরা আল কদরের মাধ্যমে দুটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়। প্রথমত: কুরআন যে রাত্রিতে নাযিল হয়েছে তা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফেরেশতারা এ দিনে বিশেষভাবে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য রহমতের বারিধারা নিয়ে ঘুরতে থাকে, আর বিলি-বন্টন করতে থাকে। আর দ্বিতীয়ত: যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে সে মাসে শয়তানকে বন্দি করা হয়, জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি নফল ইবাদত ফরয ইবাদতের সমান হয়, সর্বোপরি মানবজাতির জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো তাকওয়া, এই তাকওয়া অর্জনের জন্য এ মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে ইত্যাদি উপকার কুরআন হাদীসে বলা হয়েছে। 

পবিত্র কুরআন এক পরশমনি। এ কুরআনের স্পর্শে যারা এসেছে তারা সম্মানিত হয়েছে। হযরত ওমর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে রাসুল (সাঃ) এর বিরোধিতা শুরু করে। পরবর্তীতে কুরআনের সংস্পর্শে এসে তিনি বিশ্বের মহান নেতৃত্বের আসনে আসীন হন। ইতিহাসে তিনি সফল প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। অপরদিকে যারা পবিত্র কুরআনের বিরোধীতা করেছে এবং কুরআনের সাথে বেয়াদবী করেছে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে এবং ইতিহাসে তাদের নাম কালো অধ্যায়ে রচিত আছে। পবিত্র কুরআনের প্রত্যেকের খোরাক রয়েছে। এখান থেকে যে কেউ তার প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্বাদ গ্রহন করতে পারে। পবিত্র ক্রুআনের ভাষা এক অনন্য সাহিত্য ভান্ডার। যার কাছে পৃথিবীর সকল সাহিত্য আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য। পবিত্র কুরআন এক মহাবিজ্ঞান গ্রন্থ। বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা এ গ্রন্থ গবেষণা করে অনেক কিছু আবিস্কার করছেন। এ গ্রন্থের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। আজো যারা পবিত্র কুরআন মেনে চলে এবং পরিবারে কুরআনকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে তাদের জীবনে শান্তি আসবে। প্রত্যেকেরই পবিত্র কুরআন মেনে চলা উচিত এবং কুরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করা কর্তব্য। আর কুরআন নাযিলের এই মাসে এ দায়িত্ব পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ