অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পৌর শহরের নাচনাপাড়া গ্রামে অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। শরীরের ৭৫ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দশ নম্বর বেডে অসহনীয় যন্ত্রণায় দিন কাটছে এ অভাগীর। চিকিৎসকরা ফাতেমার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা স্থানান্তরের পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না তার পরিবার।
ফাতেমা ও তার স্বজনরা জানান, নুন আনতে পান্তা ফুরায় দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় কিশোরী বয়সেই। রয়েছে আড়াই বছরের মেয়ে রুকাইয়া। দারিদ্র্যের কারণে যে লালিত পালিত হচ্ছে ফাতেমার দাদী হাসিনার কাছে। ২৫মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যাচের কাঠি জ¦ালিয়ে ফাতেমার পড়নের ম্যাক্সিতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী ছোবাহান গাজী। ফাতেমা দ্বগ্ধ হয়ে ডাক চিৎকার করলে সটকে পড়ে ছোবাহান। প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে ফাতেমাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। রাতেই তাকে শঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে হাসপাতালের ফ্রি চিকিৎসায় নির্ভরশীল হয়ে। এঘটনায় ঐদিন রাতেই অভিযুক্ত স্বামী ছোবাহান গাজীকে গ্রেফতার করে কলাপাড়া থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে সোবাহান জেল হাজতে রয়েছে। ফাতেমার স্বজনরা অভিযোগ করে,উপজেলা নাচনাপাড়া গ্রামের ফাতেমার চরম অভাবে সংসার। ২৪মে বুধবার মেয়ে রুকাইয়াকে দেখতে যায় ফাতেমা। এনিয়েও রাতে ঝগড়া হয় স্বামীর সঙ্গে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জ¦লন্ত সিগারেট ফাতেমার গালে চেপে ধরে। সিগারেটের ছ্যাকায় পুড়ে যায় ফাতেমার গাল। তখনই হুমকি দেয় পুড়িয়ে মারার। এত কিছুর পরেও ফাতেমার চিকিৎসায় মুখ তুলে তাকায়নি স্বামীর পরিবার। বরং মামমলা তুলে নিলে চিকিৎসা খরচ বহন করা হবে বলে জানায়। ফাতেমার চাচা হাবিব জানায়, তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা ফাতের গর্বের সন্তান পেটেই মরে গেছে। অপারেশন করে বাচ্চা বের করতে হয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে চলছেনা তার চিকিৎসা। উন্নত চিকিৎসা দুরের কথা সাধারন চিকিৎসা ব্যায় চলছে দান অনুগ্রহে। মায়ের জন্য ফাতেমার আড়াই বছরের কন্যা সন্তানের আহাজারিতে পরিবারসহ প্রতিবেমীদের চোখ নামে অশ্রুর বান। ফাতেমার উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যাক্তিদের সাহায্য কামনা করছে তার পরিবার। সাহায্য পাঠাবার জন্য চাচা হাবিব, মোবাইল নম্বর: ০১৭৩৯৯০৯২০৮।