বটিয়াঘাটার প্রধান প্রধান সড়কের পাশে ইট বালু পাথরের স্তূপ: যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন
খুলনা অফিস: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় সম্প্রতি প্রধান প্রধান সড়কসমূহের পাশ দিয়ে ইট, বালু, পাথর, খোয়া ও কাঠ রেখে দেওয়ায় চলমান বর্ষা মওসুমে যানবাহন চলাচলসহ পথচারীরা পড়েছে বিপাকে। ইতিপূর্বে প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করায় কিছু দিন বন্ধ থাকলেও তা আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কৈয়াবাজার থেকে শুরু করে পানখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত বটিয়াঘাটা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে বারোআড়িয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত নেহালপুর থেকে গৌরম্ভা সংলগ্ন ভান্ডারকোট ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কের পাশ দিয়ে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষ ইট, বালু, পাথর, খোয়া ও কাঠ রেখে দেয়া শুরু করে।
অপরদিকে উপজেলা ভূমি অফিস, সাব-রজিস্ট্রি অফিস, থানা, প্রকৌশলী, মৎস্য দপ্তরে এক ধরনের দালাল শ্রেণীর লোক ও হলুদ সাংবাদিকের উপদ্রব বেড়ে যায়। যা নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ও গোটা উপজেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছায়। অবশেষে তৎকালীন ইউএনও বিল্লাল হোসেন খান ও থানার ওসি মামুন অর রশীদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। এতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে আঘাত এলেও সাধারণ জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিলক্ষিত না হওয়ায় বিষয়টি পূর্বের আকার ধারন করতে শুরু করেছে। ফলে উপজেলার অধিকাংশ সড়কের পাশ দিয়ে নতুন করে ইট, বালুসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী রেখে দেয়া শোভা পাচ্ছে, তেমনি অফিস পাড়ায় দালাল চক্রের আনাগোনা ও হলুদ সাংবাদিকের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। শান্তিপ্রিয় মানুষ জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জনসাধারণের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ যদি কেউ করে সে ক্ষেত্রে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। দুই এক দিনের মধ্যেই সকল অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে।
কোনো অগ্রগতি নেই
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠনের ৭দিন অতিক্রান্ত হলেও ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যাথোলজিস্ট’র বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ-আত্মসাতের তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই।
জানা গেছে, গত ২২ মে ডুমুরিয়া হাসপাতাল এলাকার সচেতন যুব সমাজের পক্ষ থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যাথলোজি টেকনিশিয়ান রায়হান আল-রশীদ’র বিরুদ্ধে তার দপ্তরে প্যাথলোজিক্যাল টেস্টের জন্য রোগীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা সরকারি রশীদে কম লিখে সেই টাকা আত্মসাতের তদন্ত দাবি করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় ব্যাপক মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিলন ম-লকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ২৪ মে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রাজ্জাক হাসপাতাল পরিদর্শন করে দ্রুত তদন্ত করতে বলেন। এরপর ওইদিনই ডুমুরিয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় কমিটির সভাপতি তথা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দে’র নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি’কে প্রধান করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই সব তদন্ত কমিটি গঠনের পর এলাকাবাসী দ্রুত একটি ফলাফল আশা করেছিলো। কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্যাথোলজিস্ট রায়হান বহাল তরিয়তে থাকায় এলাকার মানুষ হতাশ হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মারুফ হাসান বলেন, হাসপাতালের তদন্তে কিছু সময় লাগছে। তবে আগামি দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছি।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, প্রতিমন্ত্রী’র নির্দেশের পর সহকারী কমিশনারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটিকে দ্রুতই রিপোর্ট দিতে বলেছি।
খুলনা’র সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রাজ্জাক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করেছি। তবে আমি ঢাকা থেকে ফিরেই ব্যবস্থা নেবো।