মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

জি কে প্রকল্পের অনেক স্থানে সেচ বন্ধ ॥ চাষিরা বিপাকে

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হতে আউশ মৌসুমে অনেক স্থানে সেচ দেয়া বন্ধ রেখেছে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ। ফলে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরার অনেক চাষি সেচের পানি না পেয়ে বিপাকে পড়েছে।
প্রকাশ, নদ-নদী মরে যারার ফলে এবং এলাকায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ঋঅঙ) পরিকল্পনায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৬০ সালের পর এলাকায় আউশ মৌসুমে ও শীত মৌসুমে সেচ দেবার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে ধানের উৎপাদন ৩/৪ গুণ বেড়ে যায়। এলাকার চাষিদের অনেক উন্নতি হয়। ১৯৮০/৮১ সালের দিকে আউশ মৌসুমে এক লাখ একর জমিতে ও আমন মৌসুমে ২ লাখ একর পর্যন্ত জমিতে পানি সেচ দেয়া হতো। ১৯৯৩ সালের পর প্রকল্প গুটিয়ে নেয়া হতে থাকে। ফলে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্থাপনাগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ে। বহু সম্পদ লুট-পাট হয়ে যায়। প্রকল্পের বাসাবাড়ী নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। মাঠপর্যায়ে লোকবলের অভাব দেখা দেয়। অফিস ও বাসাবাড়ী বেদখল হয়ে পড়ে।
২০১২ সাল হতে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়। কাজ শুরু হলেও সময়মত টাকা ছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। এ খরা মৌসুমে প্রথম ফেসে কিছু জমিতে পানি দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয় ফেসে সেচের জন্য কোন পানি দেয়া হচ্ছে না। চাষিরা অগভীর নলকূপ ব্যবহার করে পানি দিচ্ছে জমিতে। এতে ব্যয় বেশী পড়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছে।
জি.কে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক মইনুল হক বলেন, এটি একটি ব্যয় বহুল প্রকল্প। সেচের পানি ব্যবহার করলেও চাষিরা সেচ কর দেয় না। ফলে সরকার থেকে টাকা না দিলে পদ্মা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে সেচ দেয়া যায় না। তিনি বলেন, আমন ধান চাষ করার জন্য সেচ দেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ