বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আগৈলঝাড়ায় গ্রামের লিচুর কদর বেশি

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা: মৌসুমী ফলে বাজার সয়লাব। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাল টকটকে রসালো লিচু। যা দেখলেই জিভে জল এসে যায়। কিন্তু ফরমালিন আতংকে ওইসব লাল টকটকে লিচুকে পরিহার করেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার ক্রেতারা। যে কারণে দেখতে লাল টকটকে না হলেও গ্রামাঞ্চলের বাড়ির আঙ্গিনা বা মাছের ঘেরের পাড়ে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত লিচুর কদর বেড়েছে সর্বত্র। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে লিচু বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামাঞ্চলের লিচু গাছ থেকে পেড়ে ২০ ও ৫০টি করে আঁটি বেঁধে বিক্রির জন্য বাজারে আনা নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের লিচুর কদর বেড়ে যাওয়ায় এক’শ লিচু ২ থেকে ৩শ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফরমালিন দিয়ে রং বৃদ্ধি ও পাকানোর আতংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লাল টকটকে রসালো লিচু ছুঁয়েও দেখছেননা ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য লিচুর ছোট বাগান রয়েছে। অধিকাংশ লিচু গাছে গত ২/৩ বছরের তুলনায় এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। রোদের তাপ ও খুব বেশি বৃষ্টি না হওয়ায় এবার গত বছরের তুলনায় লিচুর সাইজ একটু ছোট। ব্যবসায়ি রবিন পিপলাই জানান, তিনি গৈলা এলাকার দশটি বাগানের লিচু ক্রয় করেছেন।
স্থানীয় লিচু উত্তরাঞ্চলের লিচুর চেয়ে একটু কম মিষ্টি হলেও সচেতন মানুষের কাছে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। গ্রামাঞ্চলের ওইসব লিচু গাছে বাদুড় ও কাকের উপদ্রপ থেকে লিচু রক্ষা করতে তিনি লোক দিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। এছাড়াও বাঁশ কিংবা টিনের তৈরি বিশেষ বাজনা বাজিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করে তাড়ানো হচ্ছে কাক ও বাদুড়। রাতের বেলায় লিচু গাছে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি। স্থানীয় লিচুর চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িরা এবার লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ