শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ ॥ যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজটি ভেঙে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্রীজের দুপাশে রেলিং কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে রড বেরিয়ে গেছে। 

দামুড়হুদা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর সড়কের দামুড়হুদা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর ১৯৮৭-৮৯ সালে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে ব্রীজটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তখনকার সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯০ সালে। ওই বছরেই ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ১২ ফুট প্রস্থ ব্রীজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অর্থাৎ মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজ পেরিয়ে অপর পাশে চিৎলায় রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইব্রাহিমপুর মেহেরুন শিশুপার্ক, শিবনগর ডিসি ইকোপার্ক, আট শহীদের কবরের পাশে নির্মিত কমপ্লেক্স ও স্মৃতি স্তম্ভ ও কার্পাসডাঙ্গায় কবি কাজী নজরুল স্মৃতি বিজড়িত নজরুলের আটচালা ঘর এবং ঐতিহাসিক মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ। ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে এটি। প্রতিদিন এসকল দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য শত শত দর্শণার্থী এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। সেখান দিয়ে চলে বাস, ট্রাক, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি যানবাহন। দীর্ঘ ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজটি কখনও মেরামত করা হয়নি। ব্রীজটির দুই ধারের রেলিংয়ের ঢালাই খসে পড়ে রডের উপর দুর্বল রেলিং দাঁড়িয়ে আছে।

এছাড়াও দুপাশের নাম ফলকের স্থানে ভেঙ্গে গেছে। ব্রীজের রেলিংয়ে কোন রকম ছোট খাটো যানবাহনের ধাক্কা লাগলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। চওড়া কম হওয়ায় ব্রীজের উপর একটির বেশি বাস ট্রাক যাতায়াত করতে পারেনা। ব্রীজটি প্রশস্ত না হওয়ায় প্রায়ই এখানে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ব্রীজটি সরু হওয়ায় সেখান দিয়ে কোন যানবাহন পেরুনোর সময় অন্য পাশের যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ কারণে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ জন্য প্রতিদিন সেখানে সময়ও ব্যয় হয় প্রচুর। দামুড়হুদা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান আরো জানান, বর্তমান ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর প্রধান প্রকৌশলী বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সেখানে কয়েক বার প্রাথমিক সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ