বাল্য বিবাহে অভিযোগ সোনাগাজীতে বাপ-ছেলের কারাদণ্ড
ফেনী সংবাদদাতা: ফেনীর সোনাগাজীতে বাল্য বিবাহের অভিযোগে দুইজনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আনন্দিপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে শহীদ উল্যাহ ও তার ছেলে মো. আরিফ কে ৫দিন করে কারাদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, গত রোববার আনন্দিপুর গ্রামের স্কুলওয়ালা বাড়ির শহীদ উল্যাহ তার ছেলে মো. আরিফকে উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চর গোপাল গাঁও গ্রামের আবু জাফরের মেয়ে বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী নাছিমা আক্তার (১৭) কে গোপনে বিয়ে করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এমনকি শহীদ উল্যাহ তার মেয়ে বক্তারমুন্সি মোয়াজ্জেম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনী পড়–য়া ছাত্রী সুলতানা আক্তার ফাহিমা(১৩)কে ও প্রশাসনের ভয়ে গোপনে কোর্টের মাধ্যমে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে আরমান হোসেনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।
গত সোমবার ছিল শহীদ উল্যাহর বাড়িতে দুইটি বিবাহের বৌ ভাত অনুষ্ঠান। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকেলে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে শহীদ উল্যাহ ও তার ছেলে মো. আরিফসহ কয়েক জনকে আটক করে দুইটি বাল্য বিবাহ সম্পর্কে জানতে চান। এসময় তারা সঠিক কোন উত্তর দিয়ে না পারায় শহীদ উল্যাহ ও তার ছেলে আরিফ কে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ৫দিন করে কারাদন্ড দেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার টেবিল ছেড়ে শহীদ উল্যাহর মেয়ের বরসহ অতিথিরা পালিয়ে যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান বলেন, শহীদ উল্যাহর মেয়ে ও স্ত্রীসহ আরো কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।