তিন গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
সাভার সংবাদদাতাঃ আশুলিয়ায় পৃথক পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দুপুরে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার কলতাসূতি এলাকা সথেকে গৃহবধূ ফাহিমা বেগম এবং গুমাইল এলাকা থেকে অপর গৃহবধূ সুইটির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে আশুলিয়ার কলতাসূতি এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধূ ফাহিমা বেগম নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে ফাহিমা বেগমের ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ফাহিমা বেগমের স্বামী মোস্তফা। অন্যদিকে, আশুলিয়ার গুমাইল এলাকা থেকে সুইটি নামের অপর এক গহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এঘটনায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির জানান আশুলিয়া থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নার্গিস খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের মানিকপোটল গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী। শনিবার দুপুরে ইউসুফ আলীর ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, নার্গিস খাতুনের বাবার বাড়ী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায়। সে ছোট থেকে টাঙ্গাইলে এক সেনা কর্মকর্তার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। ওই বাসায় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করার কারণে ইউসুফ আলীর সাথে তার পরিচয় হয়। নার্গিসকে পছন্দ হওয়ায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সহযোগীতায় ইউসুফ আলী তাকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে জীবিকার তাগিদে ইউসুফ আলী টাঙ্গাইলে অবস্থান করছে। এদিকে শনিবার সকালে ইউসুফ আলীর ঘরের তারের সঙ্গে নার্গিসের ঝুলন্ত লাশ দেখেন স্বজনরা। ধুনট থানার এসআই মাইনুদ্দিন বলেন, পুলিশ গলায় ওড়না পেঁচানো নার্গিসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পরে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।