বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৭ নদী সমস্যা আন্তর্জাতিক আদালতে তুলে ধরার আহবান

স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান তাবেদার সরকার কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় ভারত সরকার গঙ্গার ও তিস্তার পানি আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্পের নামে গুজরাট, হরিয়ানা, রাজস্থান ও তামিলনাড়ু প্রদেশসহ অন্যান্য প্রদেশে সরিয়ে নিচ্ছে। ৩০টি সংযোগ খাল খনন করে এই পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ ও সর্বনাশ রূপে দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পানি-আইন অনুযায়ী উজানের কোন দেশই প্রবাহিত নদীর পানি প্রত্যাহার করতে পারে না। এই পানি-সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও চীনসহ চারটি দেশের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পানি ফোরাম গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ ও নেপাল অংশে বড় জলাধার নির্মাণ করে বর্ষা মওসুমে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৭টি নদীর সমস্যা আন্তর্জাতিক আদালতে তুলে ধরার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ন্যাপের মানববন্ধনের  বক্তারা।
গতকাল সোমবার সকালে ফারাক্কা লংমার্চ স্মরণে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ-ভাসানীর উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন। মানবন্ধনের সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোঃ আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে উত্তরাঞ্চল কৃষি বিপর্যয়সহ মরুভূমির রূপ নিয়েছে। অবিলম্বে এ সমস্যা সমাধান করার জন্য সমস্যাটি জাতিসংঘে ও আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ইসলামীক পার্টির মহাসচিব এ্যাড. মোঃ আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা: মাওলানা মোঃ শওকত আমীন পীরসাহেব বি-বাড়ীয়া, ওলামা দল মহানগর দক্ষিণ- সাধারণ সম্পাদক রফিকুর ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গোলাম মোস্তফা আকন্দ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার প্রফেসর মোঃ আব্দুল জব্বার, জিনাফ সভাপতি লায়ন মোঃ আনোয়ার, ন্যাপ ভাসানীর ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক একরামুল ইসলাম প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ