শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনার দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে আপদকালীন মজুদ চালের পরিমাণ বহুলাংশে কমে গেছে

খুলনা অফিস : খুলনার আটটি উপজেলা পর্যায়ে এবং দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে আপদকালীন মজুদ চালের পরিমাণ বহুলাংশে কমে গেছে। ওএমএস চলছে জোড়াতালি দিয়ে। দশ টাকা কেজি দরের চাল ও ভিজিএফ দেয়ার পর সংকটের পরিমাণ বেড়েছে। গুদামগুলোতে ২ হাজার ২২১ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। গেল নবেম্বর মাসে জেলার গুদামগুলোতে মজুদের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার মেট্রিক টন।

খাদ্য বিভাগের সূত্র জানায়, দশ টাকা কেজি দরের চালে জেলায় ৭৮ হাজার পরিবার উপকৃত হয়। ভিজিএফ এ খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিমাণ কমেছে। জেলা কারাগার, আনসার, আর্মড পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য নিয়মিত বাহিনীকে প্রতি মাসে ৫৫০ মেট্রিক টন গম ও চাল দিতে হচ্ছে। এপ্রিল মাসে দশ টাকা কেজির চাল বিক্রি কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

এই সূত্রটি আরও জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত দাকোপ উপজেলার চালনা গুদামে ৪৬ মেট্রিক টন, ডুমুরিয়ায় ২৪৪ মেট্রিক টন, পাইকগাছায় ১৬৩ মেট্রিক টন, তেরখাদায় ২১৪ মেট্রিক টন, বটিয়াঘাটায় ৪৬৮ মেট্রিক টন, ফুলতলায় ২৭০ মেট্রিক টন, রূপসা উপজেলার আলাইপুরে ১৪৫ মেট্রিক টন, কয়রা উপজেলার গুঘরাকাঠিতে ৩০ মেট্রিক টন, খুলনা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে ৯১ মেট্রিক টন ও মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে ৫৪৭ মেট্রিক টন চালু মজুদ রয়েছে। গেল মাসে ভিজিডি, দশ টাকা কেজি ও নিয়মিত বাহিনীকে ১ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন চাল দিতে হয়। ওএমএস’র ৭৩টি দোকানের মধ্যে ৪০টিতে আটা বিক্রি হচ্ছে।

গত ২ মে জেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল উল্লেখ করেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে কাঙ্খিত ধান উৎপাদন না হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান বলেন, আপদকালীন বিতরণের জন্য নিরাপত্তামূলক খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে হবে।

খুলনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এস এম কামাল হোসেন বলেন, জেলার খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। মজুদ চাল দিয়ে বিভিন্ন বাহিনীকে নিয়মিত চাল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। 

খাদ্য দপ্তরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান বলেন, দেশে যে পরিমাণ মজুদ রয়েছে তাতে সংকট হওয়ার কথা নয়।

উল্লেখ, খুলনা জেলায় ২ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো সংগ্রহের আওতায় ১১৫টি মিল থেকে ৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৩০১ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে। ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ