মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনগণ বরদাশত করবে না -মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান, আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিমপ্রধান দেশ। এদেশে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে হিন্দত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করা হলে দেশের জনগণ বরদাশত করবে না। ইসলামী ও নৈতিক শিকক্ষার অভাবেই জাতি আজ অধপতনের পথে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেটধারী লোক বের হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দেশে আদর্শ নাগরিক তৈরী হচ্ছে না। যার ফলে সর্বত্র অনিয়ম আর দুর্নীতির সয়লাব। একমাত্র কুরআন-হাদীসের সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থাই পারে দেশকে আল্লাহ ভিরু, আদর্শ নাগরিক উপহার দিতে। অতএব স্কুল-কলেজে আধুনিক শিক্ষার পাশা-পাশি শিক্ষার্থীদের যত বেশি ইসলামী শিক্ষা দেয়া যাবে তা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রাইমারী স্তর থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে দেশ ও জাতির স্বার্থে সরকারকেই ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
গতকাল সোমবার বিকাল ৪ টায় রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায়  উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতী শহিদুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, মুফতি রায়হান, হাফেজ মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা মাসুদুর রহমান ও আনসার উদ্দিন প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তি দূরীকরণে প্রতিটি মানুষের জন্য ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অতি জরুরী। কুরআন ও সুন্নাহর সহীহ দীক্ষা পেলে সমাজে কোন মানুষ সন্ত্রাসী করবে না। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না। মাদকের ঘৃণ্য থাবায় নষ্ট হবে না। বরং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আদমের সন্তান হিসেবে এক সাথে সুখে-শান্তিতে দুনিয়াতে জীবন যাপন করতে পারবো। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ