শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

“শাপলা চত্বর ট্রাজেডি জাতির স্মৃতি থেকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না”

শাপলা চত্বরের শহীদদের ৪র্থ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও ইসলামী ঐক্যজোট (একাংশের) চেয়ারম্যান হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ক্ষমতামুখী রাজনৈতিক এজেন্ডার স্থলে আদর্শিক সংগ্রামের দরুণ হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশে গণমানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের উপেক্ষিত গণমানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের জায়গায় কাজ করে ইসলাম বিদ্বেষী  স্যেকুলার চক্রের বিরুদ্ধে আদর্শিক মেরুকরণ তৈরী করার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম বাঙালী মুসলমানের সাংস্কৃতিক সংগ্রামে এক মাইলফলক রচনা করে। তিনি গত শনিবার ইসলামী রেনাসা কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রামের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামীয়া লালখান বাজারস্থ কবি নজরুল ইসলাম হলে শাপলা ট্র্যাজেডির ৪র্থতম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। বিশিষ্ট রাজনীতিক আবদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, জামিয়া দারুল মাআরিফ মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদিস মাওলানা এনামুল হক মাদানী, জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, হেফাজত ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা নেতা মাওলানা কামরুল কাসেমী, মাওলানা মুফতি ফয়েজুল্লাহ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কে. এম আলী হাসান, খুলশী থানা হেফাজত নেতা মাওলানা আবুল সালেহ, মাওলানা জাফর আহমদ আনছারী, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ ইসহাক প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, উগ্র  স্যেকুলার আশ্রিত কতিপয় প্রচার মাধ্যম প্রতি বছর ৫ মে হেফাজত তান্ডব বলে কতগুলো কল্প কাহিনী প্রচার করে কওমী আলেম ওলামা এবং ছাত্রদের নিষ্কলুষ ঐতিহ্যের উপর সন্ত্রাসের প্রলেপে গর্হিত প্রয়াস চালিয়ে থাকে, অথচ সেদিন তান্ডবের শিকার হয়েছিল  হেফাজতের হাজার হাজার নিরীহ নেতাকর্মীরা। হেফাজত ইসলামের ১৩ দফা দাবি সংখ্যা গরিষ্ট মুসলমান জনগোষ্ঠীর চেতনার প্রতিবিম্ব। যেখানে ক্ষমতা দখল কিংবা কাউকে ক্ষমতা উৎখাতের কোন ভিষণ ছিল না। দাবি ছিল কতিপয় নাস্তিক মুরতাদদের শাস্তির দাবি। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডি জাতীর স্মৃতি থেকে কখনো মুছে যাবে না। তৎকালীন সময়ে সংগঠিত গঠনাটি ইতিহাসের কলংকজনক অধ্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ