অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে হুমকিদাতা গ্রেফতার, ৩ দিনের রিমান্ডে
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সীমান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) সুমন কান্তি চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তার নাম তৌসিফ হোসেন সীমান্ত (২৮)। তিনি একজন ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সেট ও রাউটার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল তাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ- কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে অভিযুক্ত তৌসিফ হোসেন সীমান্ত পেশায় একজন ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী। তিনি বেসরকারি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্ত বলেন, জনৈক নুরুল হক মুন্না নামের একজনের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া ভিসা করিয়ে দেয়ার নামে এক লাখ আশি হাজার টাকা নেন। পরে ভিসা করতে না পারলে মুন্না টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। পরবর্তীতে তিনি মুন্নাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। কৌশলে মুন্নার ব্যাংক একাউন্ট সংগ্রহ করে বিপদে ফেলার জন্য মোবাইল নম্বর ও ব্যাংক একাউন্ট উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও জাগো ফাউন্ডেশনকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকি প্রদান করেন।
ডিএমপি’র উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, সীমান্ত দুটো ই-কমার্স সাইটে ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের দীঘলিয়ায়। বনশ্রীতে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি থাকতেন। তার বাবা জনতা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল সকালে অজ্ঞাত একটি ই-মেইল বার্তায় রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
সে সময় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এনটিভি অনলাইনকে জানান, অজ্ঞাত একটি ই-মেইল থেকে পাঠানো এক বার্তায় হাইকমিশনারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। আর চাঁদার টাকা না দিলে বোমা মেরে হাইকমিশন উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
হুমকি পাওয়ার পর থেকে হাইকমিশন কার্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।-এনটিভিবিডি