শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কেসিসি’র অধিকাংশ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বৃষ্টি কাদা পানিতে নাকাল নগরবাসী

খুলনা অফিস : নগরীর ১৮ কিলোমিটার সড়ক পর্যায়ক্রমে মেরামত করা হবে। সঠিকভাবে কমপেকশন (সড়কের মাটি বসার একটি পর্যায়) করে সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করতে আরো দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে। নগরীর সড়ক কেটে পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল গত নবেম্বর মাসে। এই ৫ মাস ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে নাকাল হয়েছেন নগরবাসী। বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টি এই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। খানাখন্দে পানি জমে সেখানে ডোবা তৈরি হয়েছে। কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে হাঁটতে নাকাল হচ্ছে মানুষ।
খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, পাইপ বসানোর কাজটি দুটি অংশে বিভক্ত। এর মধ্যে রূপসা নদীর তলদেশ অতিক্রম করে পরিশোধিত পানির পাইপ লাইন বসানো হবে ৩৬ কিলোমিটার এলাকায়। ৩০০ মিলিমিটার থেকে ১ দশমিক ২ মিটার ব্যাসার্ধেও পাইপ বসানো হয়েছে রাস্তা খুঁড়ে। ইতোমধ্যে সেই কাজ শেষ হয়েছে।
এছাড়া ৬৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে। নগরীর ছোট ও মাঝারি সড়কে যন্ত্রের মাধ্যমে ৩ ইঞ্চি থেকে সর্বোচ্চ ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত পাইপ বসানো হবে। যন্ত্রের সাহায্যে পাইপ বসানো হলেও এর জন্য প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে গর্ত খুঁড়তে হচ্ছে। এসব গর্ত সঠিকভাবে ভরাট করা হচ্ছে না। এতে ভোগান্তি বাড়ছে।
সরেজমিন নগরীর ময়লাপোতা থেকে রয়েল মোড় ঘুরে দেখা গেছে, কমপেকশন তৈরির জন্য ইটের খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে। এই সড়কটি এখন যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রয়েল মোড় থেকে পিটিআই মোড়ের একাধিক স্থানে সড়কের ভেতরে গর্ত তৈরি হয়েছে। সড়কের মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে উঁচুনিচু ঢেউ। একই অবস্থা জোড়াগেট থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত এবং বয়রা প্রধান সড়ক এলাকায়। বৃষ্টিতে এসব সড়কে হাঁটাচলা করাই এখন দায় হয়ে পড়েছে।
ওয়াসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক খান সেলিম আহমেদ বলেন, সড়ক সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। ময়লাপোতা মোড় থেকে রয়েল মোড় পর্যন্ত ইটের খোয়া দিয়ে কমপেকশন তৈরি করা হয়েছিল। পরে এলজিইডির কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে আরও কিছু খোয়া দিয়ে রোলার করতে হবে। সড়কে কমপেকশন বেশি হলে সড়ক বেশিদিন ভাল থাকবে। এজন্য ভালোভাবে মেরামত করা হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি।
তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ময়লাপোতা থেকে রূপসা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হবে। আগামী সপ্তাহে এই কাজ শুরু হবে। এরপর ময়লাপোতা থেকে শিববাড়ি হয়ে জোড়াগেট এবং সোনাডাঙ্গা সড়ক ঠিক করা হবে। সব সড়ক সংস্কারের জন্য সময় লাগবে কমপক্ষে দেড় মাস।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় নদীর দুই পাড়ে ৩৬ কিলোমিটার পাইপ সড়ক কেটে বসানো হবে। এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নগরীর ৪২৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে মেশিনের সাহায্যে। মেশিনের সাহায্যে পাইপ বসানো হলেও এরজন্য সড়ক খুঁড়তে হয়েছে। অপেক্ষাকৃত ছোট সড়ক ও মোড় খুঁড়ে রাখায় প্রায়শ সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপাওে খুলনা সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, সড়ক সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে। এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের রিপোর্ট অনুযায়ী দ্রুত কাজ শেষ করতে বলেছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ