শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

উ. কোরিয়ায় ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ নিয়ে ট্রাম্পকে চীনা প্রেসিডেন্টের ফোন

১২ এপ্রিল, বিবিসি/সিসি টিভি/গ্লোবাল টাইমস/ফক্ চ্যানেল : উত্তর কোরিয়া নিয়ে ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানে’ পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘চীনের সহযোগিতা না পেলে উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে এককভাবেই পদক্ষেপ নেবে।’ ওই টুইট বার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। 
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে যখন আঞ্চলিক ও অন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তখন কোরীয় উপসাগরে রণতরী মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে মার্কিন সেনাবাহিনীর নির্দেশে পাঠানো কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ নামের ওই রণতরীতে রয়েছে একটি বিমানবাহী জাহাজসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ।
 কোরিয়া উপদ্বীপে মার্কিন রণতরী মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের মার্কিন আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য তাদের ‘শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী’ প্রস্তুত রয়েছে।
চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকালে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় শি জিনপিংয়ের। তবে হোয়াইট হাউস এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। সিসিটিভি জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে শি জিনপিং বলেন, ‘কোরিয়া উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র নিষ্ক্রীয়করণে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই সঙ্গে উপদ্বীপের সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে চায় আমরা।’
এর আগে গতকাল বুধবার চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, পারমাণবিক শক্তিধর পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সহাবস্থানের কোনও পরিকল্পনা নেই। এখন উত্তর কোরিয়া শান্তি আলোচনা শুরু করতে পারে, অথবা নিজের সুরক্ষার জন্য কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে পারে। তবে তাদের অন্তত উস্কানিমূলক পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত।
গত সপ্তাহে ফ্লোরিডায় ট্রাম্প-শি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উত্তর কোরিয়ার বিষয় বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরীয় সমস্যা না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। উত্তর কোরিয়া সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যদি চীনব আমাদের সয়াহায্য করে, তাহলে তা খুবই ভালো হবে। আর যদি তা না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র একাই সমস্যার সমাধান করবে।’
গত মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা রণতরী পাঠাচ্ছি। যা খুবই শক্তিশালী। আমাদের শক্তিশালী সাবমেরিনও রয়েছে। আর তা এয়ারক্রাফট কেরিয়ার থেকেও বেশি শক্তিশালী।
৫ এপ্রিল জাপান সাগরে একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্ভবত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখ-ে আঘাত হানতে সক্ষম।
পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওই কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি উত্তর কোরিয়া।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ