শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ওয়েঙ্গারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ

ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে গত সোমবার ৩-০ গোলে পরাজিত হয়ে আর্সেনাল ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে। এর ফলে গানার্স কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের সামনে বিদায়ের ঘন্টা আরো তিক্তভাবে বেজে উঠেছে। এবারের প্রিমিয়ার লীগে ধুকতে থাকা প্যালেসের কাছে ওয়েঙ্গার শিষ্যরা এভাবে যে বিধ্বস্ত হবে তা কল্পনাতীত ছিল। মৌসুমে এটাই গানার্সদের সবচেয়ে বড় পরাজয়। ওয়েঙ্গারের ২১ বছরের দায়িত্বে এই নিয়ে পরপর চারটি এ্যাওয়ে লীগ ম্যাচে গানার্সরা পরাজিত হলো। আর আন্দ্রোস টাউনসেন্ড, ইয়োহান কাবায়ে ও লুকা মিলিভোজেভিচের গোলে ১৯৭৯ সালের পরে আর্সেনালের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে প্রথম জয় তুলে নিল প্যালেস। এই নিয়ে শেষ আট লীগ ম্যাচে পাঁচটিতেই পরাজিত হলো ওয়েঙ্গার শিষ্যরা। এই পরাজয়ে আর্সেনাল সমর্থকরা আরেকবার ওয়েঙ্গারের পদত্যাগের দাবী তুলেছে। ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুম থেকে টিম বাসে ওঠার সময় ওয়েঙ্গার ও দলের সদস্যদের সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে আর্সেনাল টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে। অথচ এই ওয়েঙ্গারের হাত ধরেই বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে টানা ১৯বার চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্সেনাল। কিন্তু নিজের বিদায়ী বছরে দল এতটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে তা নিজেও ভাবতে পারেননি। ম্যাচ শেষে হতাশ এই ফ্রেঞ্চম্যান বলেছেন, ‘আমি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শুরু এটাই বলতে চাই, দলকে সমর্থন করো। আমি জানি তারা বেশ হতাশ, আমরাও তাই। আমরা এখানে জেতার লক্ষ্য নিয়েই খেলতে এসেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে প্যালেস জ্বলে উঠেছে। এভাবে পরাজিত হওয়াটা সত্যিই হতাশার। দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এখনো আমাদের হাতে সপ্তাহ খানেক সময় রয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ ১৯৯৭ সালের পরে এই প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে আর্সেনাল। এই মুহূর্তে ওয়েঙ্গার এখনো নিশ্চিত করে ক্লাবের সাথে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। মৌসুমের শেষে তার সাথে আর্সেনালের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ