পরকীয়া ও যৌতুকের জন্য ৩ সন্তানের জননী স্বামীর হাতে খুন
পত্নীতলা (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর পত্নীতলায় পরকীয়া ও যৌতুকের কারণে ঘাতক স্বামী ও ৩ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। মামলা সূত্রে জানা গেছে পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের দক্ষিণ আড়াইল গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে বানু আরা (২৮) এর বিয়ে একই গ্রামের মৃত রফিক উদ্দীনের ঘাতক পুত্র আবু রায়হান (৩০) এর সাথে গত ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের ২/৩ বছর স্বামীর সংসারে গৃহবধু বানু আরা ভাল থাকলেও এরপর গৃহবধু বানু আরার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার ছায়া। ঘাতক স্বামী আবু রায়হান পরকীয়া প্রেম ও যৌতুকের কারণে গৃহবধূর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসতো বলে নিহতের পিতা আব্দুস ছাত্তার জানায়।
নিহতের পিতা আরো জানায় যৌতুকের জন্য আমি আমার মেয়ে বানু আরার নামে ৪ কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়। শত অত্যাচার নির্যাতনের জালা সহে স্বামীর সংসার আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন অসহায় গৃহবধূ বানু আরা। অত্যাচার ও নির্যাতনের মাঝে গৃহবধূর কোল জুড়ে আসে ৩ পুত্র সন্তান।
ঘাতক ও পাষন্ড স্বামী আবু রায়হান একই গ্রামে রওশন আরা নামের এক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক প্রায় দেড় বছর ধরে চলে আসছিল। ঘটনার দিন ৬ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের স্কুলে স্বামী স্ত্রী ও তিন সন্তান মিলে অনুষ্ঠান দেখতে যায়। স্ত্রী পুত্রদের অনুষ্ঠানে বসে রেখে কৌশলে আবু রায়হান তার প্রেমিকা রওশন আরার সাথে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে যায়। বিষয়টি গৃহবধূ বানু আরা জানতে পেরে প্রেমিকা রওশন আরার বাড়িতে গেলে তার স্বামীকে তার সাথে গল্প করতে দেখতে পায়।
এরপর স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া ঝাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ঘাতক স্বামী আবু রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে পিটাতে পিটাতে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে, এরপর স্বামীর নির্মম নির্যাতনে গৃহবধূ বানু আরার করুণ মৃত্যু হয়। ঐ রাতে ঘাতক আবু রায়হান তার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।