শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী গোপন চুক্তিতে লিপ্ত -ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থের চেয়ে বিদেশী স্বার্থকেই এখন বড় করে দেখছেন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে পিন্ডির গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছি আর তিনি এখন দেশকে দিল্লীর গোলামিতে নিয়োজিত করছেন। তিনি ৩৩টি চুক্তি করতে যাচ্ছেন। নিয়ম হচ্ছে চুক্তি করতে যাওয়ার আগে বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে আলাপ-আলোচনা করা এবং দ্বি-পাক্ষিক বিষয়গুলোর ভাল-মন্দ জনসমক্ষে তুলে ধরা। সেটা না করে তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য গোপন চুক্তিতে লিপ্ত হয়েছেন। জনগণের জন্য তার কোন দরদ নেই বলে দেশকে এখন তিনি দিল্লীর জিঞ্জিরে আটকে ফেলছেন।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও প্রজন্ম একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ‘লিডারশিপ ওয়ার্কশপ’ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বিকেলের সেশনে প্রধান বক্তা ছিলেন ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লিডারশিপ ট্রেনিং প্রজেক্টের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। প্রজেক্ট সমন্বয়ক কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান আহমেদ মল্লিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান নান্নু, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহান আরো বলেন, পৃথিবীতে দুই শতাধিক স্বাধীন দেশ থাকলেও মাত্র তিনটি দেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। দেশ ৩টি হচ্ছে- ম্যাক্সিকো-আমেরিকা, ইসরাইল-ফিলিস্তিন ও ভারত-বাংলাদেশ। ভারত কাঁটাতারের বেড়াও দিচ্ছে এবং লোকজনকে পাখির মত গুলি করে মারছেও। গত এক দশকে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার পরিমান সাড়ে ৫ শতাধিক। কিছুদিন আগে দুর্বল দেশ নেপালের একজন লোক মারার জন্য মোদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের এত লোক মারা হয় তার জন্য সরকারের তরফ থেকে সামান্য বিবৃতি দেয়ারও প্রয়োজন বোধ করা হয় না। এটা ভারতের তাঁবেদারী ছাড়া আর কি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তারা কোনদিনই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতে পারবে না। সেজন্যে চক্রান্ত করে ক্ষমতায় থাকা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় নেই। প্রয়োজনে তারা দেশকে বিক্রি করে এবং জনগণের উপর ষ্টীম রোলার চালিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকবেন।
তিনি বলেন, আদালত কখনোই ইতিহাস লেখে না। ইতিহাস লেখে ইতিহাসবিদরা। অথচ আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখেই তারা অন্যায় করে যাচ্ছে। এদেশে বেঈমানীর ইতিহাস আওয়ামী লীগের তৈরী ইতিহাস। শেখ মুজিবকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে সরকারও গঠন করে আওয়ামী লীগ। সামরিক শাসনও জারী হয় আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। মুজিব কেবিনেটের ২৫ জন সদস্য মোস্তাক সরকারে যোগদান করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান এইচ টি ইমাম। অথচ তারাই শহীদ জিয়াউর রহমানকে নানা কারণে দায়ী করে থাকেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ