শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শিরক-বিদ‘আতমুক্ত ইসলাম প্রচারে চেষ্টা চালাচ্ছে আহলে হাদীস

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাসূল (সা:)-এর পদ্ধতিতে ইবাদত না করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্নভাবে ইবাদত করতে দেখা যায়। মানুষকে ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস এ দেশে শিরক-বিদআতমুক্ত ইসলাম প্রচারে সচেষ্ট ভূমিকা রাখছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়িতে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের নব-নির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধনপূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জমঈয়ত উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ মোবারক আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের হারামাইন শরীফাইন অধিদফতরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. শাইখ মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুযাইম, সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব শাইখ আব্দুর রহমান গান্নাম আল গান্নাম, মসজিদে নববীর ইমাম ও খতীব শাইখ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম, সৌদি ধর্মমন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শাইখ আব্দুল্লাহ বিন যাইফুল্লাহ আল মুতাইরি, বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসের রিলিজিয়াস এটাসে শাইখ সুলতান মুহাম্মদ আল আনকারী ও সাবেক রিলিজিয়াস এটাসে শাইখ আহমদ বিন আলী আর রূমী।

 এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জমঈয়তের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহহাব লাবীব, সাবেক সচিব আব্দুস সবুর, ইউসিবিএল-এর চেয়ারম্যান এম. এ. সবুর, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আ.ব.ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ।

 মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষগণ জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর খিদমত করেছেন। আমিও এই সংগঠনের খিদমত করে যেতে চাই। এ জন্য মাসজিদে নববীর ইমামসহ সকলের কাছে দু‘আ কামনা করছি। আলোচনা শেষে তিনি হারামাইন শরীফাইন অধিদফতরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. শাইখ মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুযাইম, সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব শাইখ আব্দুর রহমান গান্নাম আল গান্নাম, মসজিদে নববীর ইমাম ও খতীব শাইখ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিমকে ঢাকার চাবি হস্তান্তর করে অতিথিদেরকে সম্মাননা প্রদান করেন।

শাইখ আব্দুর রহমান গান্নাম আল গান্নাম বলেন, বাংলাদেশে জমঈয়তে আহলে হাদীসের অনুসারীরা শির্ক-বিদআতমুক্ত সঠিক ইসলাম পালন করে থাকে। ইমাম চতুষ্টয়ও সঠিক ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামি নির্দেশনা অনুসরণ করে চললে জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন মতবাদের অস্তিত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে। শির্ক ও বিদআত তাওহীদ ও সুন্নাহর পরিপন্থি। আমলে শির্ক বিদআতের সংমিশ্রণ ঘটলে সেই আমল মূল্যহীন বলেই বিবেচিত হবে। তাই শির্ক বিদআতমুক্ত আমল ছাড়া নাযাত পাওয়া যাবে না। 

মাসজিদে নববীর ইমাম বলেন, আমি এদেশের হক পন্থী মুসলিমদের সাথে মিলিত হতে পেরে আনন্দিত।

 অধ্যাপক মুহাম্মদ মোবারক আলী বলেন, আমাদের দাওয়াত ও তাবলীগী তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে কুরআন ও সহীহ হাদীসের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যারা ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে, ইসলামী নীতি-আদর্শের সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই। তারা যে নামেই পরিচিত হোক তারা মুখোশধারী মুসলিম। তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কুরআন সুন্নাহ ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে ইসলামের চর্চা হলে মুসলিম ঐক্যে বিভক্তি আসবে এবং শান্তি বিনষ্ট হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ