শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দূরত্ব কমাতে কাস্টমস হাউস সরিয়ে নেয়া হচ্ছে মংলায়

খুলনা অফিস : খুলনার খালিশপুরে মংলা কাস্টম হাউসের অবকাঠামো সংস্কার কাজ চলছে। পাশাপাশি দূরত্ব কমাতে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে কাস্টম হাউসের সকল কার্যক্রম। কাস্টম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাগেরহাটের মংলায় প্রায় ১৫ একর জমিতে বর্তমান অফিস ভবন স্থানান্তর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখানে ১০ একর জমিতে আবাসিক কমপ্লেক্স ও ৫ একর জমিতে অফিস ভবন নির্মিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫ একর জায়গার ওপর ছয়তলা অফিস ভবন, ২টি গোডাউন, ২টি গ্যারেজ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, মসজিদ, রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণের লক্ষ্যে ৪৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১০ একর জায়গায় কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপি প্রণয়নের লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ১২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রাক্কলন পাওয়া গেছে। মংলা অফিস ও আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে ১৭২ কোটি ৯০ লাখ টাকার সংশোধিত ডিপিপি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন আছে। 

মংলা কাস্টম কমিশনার ড. মো. আল-আমিন প্রামানিক জানান, খুলনা থেকে মংলার দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। খুলনায় কাস্টমস হাউসে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করে বন্দরে গিয়ে পণ্য ছাড়করণে বহু সময় লাগে। এ কারণে মংলা কাস্টম হাউস খুলনা থেকে বন্দরের কাছাকাছি সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, কাস্টম হাউসের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে বর্তমান অনুমোদিত জনবল ৩১০ এর বদলে ৬৫৫ জনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া যানবাহন সংখ্যা ১৩টি থেকে ৬০টি, কম্পিউটার ১০০টি থেকে ৫০০টি, কম্পিউটার সার্ভার ২টি থেকে ৮টি, জেনারেটর ৩টি থেকে ১০টি, ওয়েয়িংইব্রজ ১ টনের ২টি থেকে ৪টি ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ২টি থেকে ১৫টিতে বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০টি ওয়েয়িং স্কেল স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকরা জানান, দূরত্বের কারণে একই দিনে খুলনা ও মংলায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা চালুর পাশাপাশি শুল্কভবন বন্দর এলাকায় কার্যক্রম শুরু না করা পর্যন্ত বন্দর ও কাস্টমস এর ডেলিভারী শাখার কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে চালু করার দাবি করেন গাড়ি আমদানিকারকরা।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসান বলেন, কাস্টম অফিসের দূরত্বের কারণে আমদানি পণ্য খালাসে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে। এ কারণে কাস্টম হাউসের কার্যক্রম বন্দরের কাছাকাছি সরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাস সম্ভব হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ