ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

পাবনায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক হাজার বাড়ী-ঘর লণ্ডভণ্ড

অনলাইন ডেস্ক: গতকাল রাতে পাবনার সাঁথিয়া ও সুজানগরে প্রচণ্ড ঝড়ে প্রায় এক হাজার বাড়ী-ঘর ধ্বংস হয়েছে।আহত হয়েছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক।

সোমবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়ায়  প্রচণ্ড বেগে আসা ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। দুই শতাধিক পরিবারের চার শতাধিক ঘর লণ্ড ভণ্ড। শিশুসহ আহত ১০। বিদ্যুত বিছিন্ন তিন ইউনিয়ন। উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

একই সময়ে পাবনার সুজানগরে ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এক মিনিটেরও কম সময় ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সুজানগর উপজেলার চিনাখড়া, চর গোন্দিপুর দুপপাড়া ও হাসেমপুর গ্রামের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি।

এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঘর ও গাছ চাপা পড়ে আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। তাদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লোকজন।

জানাযায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর, মিয়াপুর, দাতালপুর, পাইক পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। এতে এলাকার প্রায় ১০ জন নারী ও শিশু আহত হয়েছে। রসুলপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জলি (৬) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অন্যদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। বাড়ির ও রাস্তার বড় বড় গাছ ভেঙে বিদ্যুত সংযোগসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের পল ভেঙে ও তার ছিড়ে প্রায় তিনটি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম বিদ্যুত বিহীন রয়েছে। ঘূর্ণি ঝড়ে ক্ষতি গ্রস্ত ২ শতাধিক পরিবারের ৫শতাধিক সদস্য ওই দিন রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের মাথা গুজার ঠাঁই নেই। রাত থেকেই রান্না বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত তারা অনাহারে রয়েছে। সোনাই মোলালা, আব্দুর রহমান, শামসুর রহমান, খলিলুর রহমান, আ: রশিদসহ অনেকে জানান,তাদের বাড়ি ঘরের কোন চিহূ নেই। মুহুর্তের ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে পাবনা-২ আসনের এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন, সুজানগর পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

ডি.স/আ.হু

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ