শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এভারেস্ট জয় নিয়ে ভুয়া দাবি ঠেকাতে নেপালের জিপিএস ব্যবহার

২১ মার্চ, হিমালয় টাইমস : অভিযাত্রীদের সুরক্ষা ও এভারেস্ট জয় নিয়ে ভুয়া দাবি আটকাতে নেপাল সরকার জিপিএস পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে হিমালয় টাইমস।
আগামী এপ্রিল ও মে মাসে কয়েক হাজার অভিযাত্রী এভারেস্ট জয়ের অভিযানে যাবেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই সফল হতে পারবেন। ওই অভিযাত্রীদের সঙ্গে একটি জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস যুক্ত করে দেওয়া হবে।
নেপালের পর্যটন বিভাগের প্রধান দূর্গা দত্ত ধাকাল বলেছেন, ওই জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসটির মূল্য ৩০০ ডলার। এটি অভিযাত্রীদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে, স্থান নির্দিষ্ট করে উদ্ধারকারী দল পাঠাতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
এই যন্ত্রটির মাধ্যমে অভিযাত্রীদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে তারা আসলেই এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন কিনা, তাও এতে রেকর্ড থাকবে। এই পদ্ধতিতে এভারেস্ট জয়ের সনদ দিতে এখন আর ভুয়া দাবি অনুসন্ধান করতে হবে না বলেও দূর্গা দত্ত জানান। কয়েক বছর ধরে বেশকিছু ভুয়া দাবি সামনে আসার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল।
গত বছর ভারত থেকে যাওয়া এক দম্পতি মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের দাবি করেছিলেন। তাদের সনদও দেওয়া হয়। তবে পরে তাদের সেই চূড়ায় ওঠার ছবি ভুয়া ছিল বলে প্রমাণিত হয়। এই ঘটনায় নেপাল কর্তৃপক্ষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
উল্লেখ্য, এভারেস্ট জয়ের সনদ পেতে অভিযাত্রীদের চূড়ায় উঠে তোলা ছবি দেখাতে হয়। তারা তীব্র ঠা-ায় ভারী কাপড় পরে, মুখ ঢেকে রাখার জন্য কখনও কখনও তাদের চিহ্নিত করাটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ না করেই অনেক পর্বতারোহী এভাবেই মিথ্যাচার করেন বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫ সালে এভারেস্ট অভিযানের সময় ভূমিকম্পে ১৯ অভিযাত্রী নিহত ও ৬১ জন আহত হন। ২০১৪ সালে কুম্ভ আইসফলে তুষারধসে ১৬ জন শেরপা গাইড নিহত হয়েছিলেন। এমন দুর্ঘটনায় অভিযাত্রীদের সঙ্গে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস থাকলে তাদের কাছে জরুরি সাহায্য পাঠানো যাবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ