বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় সড়কের সংস্কার নেই ॥ জনদুর্ভোগ

নীলফামারী: খানা-খন্দকে ভরা জেলার কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তা

নীলফামারী সংবাদদাতা: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশের মূল গেটের সামনে থেকে উপজেলা পরিষদের মূল গেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা খানা খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া  সামান্য বৃষ্টি হলে ওই এলাকাগুলো কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। সূত্র মতে, ১৯৯৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সড়কটির সংস্কার করার পর থেকে অদ্যাবধি আর কোন সংস্কার না করায় সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্যক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব খানা খন্দকের ফলে রাতের বেলা বিভিন্ন নৈশ কোচ উপজেলা শহরে প্রবেশ করলে শুরু হয়ে তীব্র যানজট। প্রায় ২০ বছর থেকে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় প্রতি নিয়ত খানা খন্দকে বিভিন্ন পবিবহন পরে গিয়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টি হলে সাধারণ খেটে খাওয়া ভ্যান চালকদের পড়তে হয় নানান ধরনের বিড়ম্বনায়। প্রতি নিয়ত ভ্যান চালকদের ভ্যান রাস্তায় পানি জমে থাকার ফলে গর্ত বুঝতে না পেরে ভ্যানের চাকা গর্তে পরে ভ্যানের রিং, স্পোক, এক্সেলসহ ভ্যান উল্টে যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। সড়কটির বেহালদশা হওয়ায় পরিবহন মালিকেরা কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এজন্য কিশোরগঞ্জ থেকে নীলফামারী ও রংপুরে যেতে যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন হিসাবে বেঁচে নিয়েছেনব্যাটারী চালিত অটো, সিএনজিসহ অন্যান্য ছোট ছোট পরিবহন। কিশোরগঞ্জ সড়ক থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে অন্য সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন এমন একজন বাসের ড্রাইভার দুলাল হোসেন জানান, এ সড়কে গাড়ী চালালে পরিবহন খরচ উঠে না। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম জানান, আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীলফামারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে কিশোরগঞ্জ থানা মোড় থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে পর্যন্ত সড়কটির দ্রুত কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। নীলফামারী সড়ক ও জনপথের নীলফামারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান জানান, আমি নতুন এসেছি রাস্তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের আনন্দধামের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশার কারনে ঐ এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। মানুষ চলাচল ও যানবাহনের চাপের ফলে এবং দুই পাড়ে পুকুর থাকায় রাস্তার মাটি ভেঙে ঐ পুকুরে পড়ার কারণে পাকা রাস্তাটি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে যাত্রী ভ্যান, আলমসাধূ আবারো কখনো দেখা যায় ট্রাক ভর্তি মালামালসহ পুকুরের মধ্যে পড়ে গেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার দুই পাশের পুুকুরে বাধ না দেওয়ায় এবং যানবহনের চাপের কারণে সম্প্রতি রাস্তার পিচ উঠে ইট ও খোয়া বের হয়ে পড়ায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের সাথে খাসকররা ভায়া সরোজগঞ্জ হয়ে চুয়াডাঙ্গা অথবা ঝিনাইদহর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রীয় মুখার্জি জানান, ঐ রাস্তাটির আনন্দধাম পয়েন্ট থেকে সামনে এক কিমি পর্যন্ত সংস্কার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং দ্রুত শেষ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ